২৯/০৯/২২ তারিখে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনৈক রবিউল হকের মিনা কুটির নামক ভবনে অভিযান পরিচালনা করে দুই কৌশলী প্রতারক গ্রেফতার ও প্রতারণা করে অর্জিত নগদ এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করে।
জনৈক ইয়াসিন আলী, পিতা- মৃত খোদাবক্স মন্ডল, থানা- জীবননগর এর তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ জানতে পারে যে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা ইয়াসিন আলিকে জানায় তাদের গ্রামে এয়ারটেল মোবাইল কোম্পানির টাওয়ার স্থাপন করা হবে। এজন্য জমির মালিকের সাথে তাদের ১০ বছরের একটা চুক্তি করা হবে এবং তাকে নগদ এককালীন ২১ লক্ষ টাকা ও প্রতিমাসে ১৭,৫০০/- টাকা করে প্রদান করা হবে। এই সুবিধা পেতে হলে তাদেরকে ৩ লক্ষ টাকা জামানত হিসেবে দিতে হবে।
বর্নিত আলোচনা সাপেক্ষে ৩ লক্ষ টাকা জামানতের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা শহরের বর্নিত অফিসে বসের নিকটে নিয়ে আসেন। তখন বস তাকে টেবিলের উপরে রাখা কয়েকটা টাকার বাণ্ডিল সাদৃশ্য বস্তু দেখিয়ে বলে অন্য এক ব্যক্তি তার জমিতে টাওয়ার স্থাপনের জন্য এই তিনটি বান্ডিলে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করেছে। এই কথা বলে তার নিকট থেকে বিশ্বাস স্থাপন করে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যম নগদ এক লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। টেবিলের উপর থেকে ফাইল সরানোর সময় অসাবধানতাবশত তিনটি খামের একটি খাম নিচে পড়ে গেলে দেখা যায় যে, খামের ভেতর টাকার সাইজে কাটা সাদা কাগজ। তখন ভুক্তভোগী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ প্রতারক শ্রেণির প্রতারণার কাজটা বুঝতে পেরে কৌশলে নিচে এসে পুলিশকে জানায়।
পুলিশ সংবাদ পাওয়া মাত্রই সেখানে হাজির হয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসামি (১) মোঃ রাকিবুল, পিতা-মৃত লুৎফুর রহমান, সাং-ভাকুড়ি, থানা-মুকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, (২) মোহাম্মদ সেলিম মাহমুদ, পিতা- শামসুল হক, শাহআলী থানা, ডিএমপি, ঢাকাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত আসামিদের নিকট হতে নগদ এক লক্ষ টাকা জব্দ করা হয়। তখন তারা জানায় যে, তারা কোন মোবাইল কোম্পানির লোক নয়, বরং একটি প্রতারক চক্র। এভাবে প্রতারক চক্র গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ সংক্রান্তে চুয়াডাঙ্গা থানার মামলা নং-২৬, তারিখ- ৩০/০৯/২২, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আমাদের অভিযান চলমান আছে।
* সকলের নিকট সনির্বন্ধ অনুরোধ লোভের বশবর্তী হয়ে প্রতারিত হবেন না।