জাল কোর্ট ফি ক্রয়-বিক্রয়ের অপরাধে মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ্যে আদালতে জিআর ৫০/২০১১ (শ্রীমঙ্গল) নং মামলায় সাজার রায় ঘোষণা করেন।
জিআর ৫০/২০১১ (শ্রীমঙ্গল) নং মামলায় অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ও রমেন্দ্র ভট্টাচার্যকে পেনাল কোডের ৪৬৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ২ মাস সশ্রম কারাদন্ড ও পেনাল কোডের ৪৬৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো ২ (দুই) মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালের ৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন হোটেল বিরতি রুম নং ৩/২ এর মধ্যে ৩ হাজার ২শ ৪০টি জাল কোর্ট ফি ও জাল কোর্ট ফি বিক্রয়ের নগদ ৯ হাজার ৬শ ২০ টাকাসহ অভিযুক্তদের হাতে নাতে আটক করে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প। জাল কোর্ট ফি ক্রয়-বিক্রয়ের অপরাধে সাজা প্রদান করা হয়। সাজা ঘোষণার সময় অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ওই মামলায় তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। অপর পলাতক আসামী রমেন্দ্র ভট্টাচার্যের প্রতি গ্রেফতারী পরোয়না ইস্যু করা হয়।
উল্লেখ্য যে, প্রতি বছর জাল কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প ক্রয় বিক্রয়ের দরুণ বিচার বিভাগ হতে ১০ হাজার কোটি টাকা হতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়। যার ফলে, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে সুপ্রীম কোর্ট হতে সরবরাহকৃত ICD MULTI-FUNCTIONAL UV-FLASHLIGHT এর মাধ্যমে জাল কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলমান আছে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ জাতীয় আরো খবর ....