র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ দুপুরে ভিকটিম মোঃ সামছুর গাজীর সাথে তার শ্যালক আসামী মোঃ ফজর আলী ও মোঃ আহাদ আলী গাজীদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আসামীরা লোহার শাবল দিয়ে ভিকটিমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। যার ফলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম মোঃ সামছুর গাজীকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর সামছুর গাজী হত্যা মামলার আসামীরা যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ সকাল আনুমানিক ৯টস৫৫ মিনিটের সময় যশোর জেলার মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ সামছুর গাজী হত্যার ঘটনার মূলহোতা আসামী ১। মোঃ আহাদ আলী গাজী(৪০), থানা-কালীগঞ্জ, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী উক্ত হত্যার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এই হত্যা মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।