র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন ৩নং কাশেম সড়কে পূর্ব শত্রুতার যের ধরে কিশোর গ্যাং আসামী মাসুদ ও মোঃ অনি সহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা ভিকটিম ইয়াছিনকে ধারালো চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম ইয়াছিনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কেএমপি খুলনার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার বিষয়ে র্যাব-৬, খুলনার স্পেশাল কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, খুলনার স্পেশাল কোম্পানির একটি আভিযানিক দলটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর ইয়াছিন হত্যা মামলার কিশোর গ্যাং আসামীরা ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানা এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ আনুমানিক ১৯.০০ ঘটিকার সময় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানাধীন চিতরবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ অনি(১৭), থানা-বোয়ালমারি জেলা-ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে অদ্য ১৮ সেম্টেম্বর ২০২২ তারিখ রাত আনুমানিক ৪ টার সময় আভিযানিক দলটি খুলনা জেলার পাইকগাছা থানাধীন পাকার মাথা এলাকায় অন্য একটি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামী কিশোর গ্যাং মোঃ মাসুদ রানা(২০), থানা-কয়রা, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এই নৃশংস হত্যা মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে কেএমপি, খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।