দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ১০নং মোহনপুর ইউনিয়নের লাটেরহাটে ড্রেন নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে দোকানদার ও এলাকাবাসীর পক্ষে মাটিয়াকুড়া গ্রামের মৃত. আশরাফুল ইসলামে ছেলে ও ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেছেন এবং সদয় অবগতির জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীর বরাবর অনুলিপি প্রেরন করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এডিপির অর্থায়নে লাটেরহাট আমতোলা থেকে মাছহাটি পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, খোয়া, রাবিস বালি ও কম পরিমাণের সিমেন্ট ব্যবহার করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসমস্ত দূর্নীতি, অনিয়ম, নিম্নমানের কাজ দেখে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহীন চৌধুরী কে অবগত করলে তিনি দুইবার কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান ও ৭নং ওয়ার্ডে সদস্য ফরজ আলী মোটা অংকের টাকা ঠিকাদারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করার অনুমতি দেন। গত শুক্রবার সকাল ১১টায় নিম্নমানের কাজ দেখে তারা ড্রেন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। অতিবিলম্বে তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বরাদ্দ অনুযায়ী ড্রেন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরেজমিনে গিলে স্থানীয়রা ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি তাইজুল ইসলাম জানান, এই ড্রেনটা বাজারের প্রাণ কেন্দ্র। এই ড্রেনের জন্য দীর্ঘদিন যাবত বাজারের লোকজন দুরবস্থায় ভুগছিল। যার কারণে এবার চেয়ারম্যান বাজেট দিয়েছে। আমরা চেয়ারম্যানকে বলছি, এখানে তিন নাম্বার ইট দিয়ে খুব নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। ওনি কাজ হওয়ার পর দেখবে বলে আমাদের জানান। ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ম্যানেজ হয়ে ঠিকাদারকে নিম্নমানের ড্রেন করার সহযোগিতা করছেন। ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম জানান, ড্রেনের কাজ ভাল হচ্ছে। তবে প্রথমে চেয়ারম্যান দুইবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে পুরাতন মালামাল ও কাজ বাবদে ৩০ হাজার টাকা দাবি করছিল, পরে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। ইউপি সদস্য ফরজ আলী জানান, টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পাবলিক ভালো-মন্দ বুঝে কাজ টা বন্ধ করে দিয়েছে।কাজ যদি খারাপ করে তাহলে তো বন্ধ করে দিবেই। সিমেন্ট দেয় নি, বালু দেয় নি। কাজের কোন বেদিক নাই। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জিবরীল আহম্মদ জানান, নিম্নমানের কাজ করলে ঠিকাদার বরাদ্দের কোন টাকা পাবে না ও তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।