আলমডাঙ্গার হারদী মীর শামসুজ্জোহা ডিগ্রি কলেজ আবারও জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধীনে কলেজ পারফর্মেন্স র্যাংকিং এ -২০২২ খুলনা বিভাগের শীর্ষ দশ কলেজের মধ্যে ৯ম স্থান অধিকার করেছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধীন ৭৫০টি অনার্স কলেজের মধ্যে কলেজ পারফর্মেন্সে মীর শামসুজ্জোহা ডিগ্রি কলেজ খুলনা বিভাগের শীর্ষ দশ কলেজের মধ্যে ৭ম স্থান অধিকার করে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির কাছ থেকে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছিল। কলেজের এই সাফল্যের সংক্ষেপে বলতে গেলে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা এবং কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারীদের নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ এবং অকৃত্রিম প্রতিষ্ঠান প্রেম এই সাফল্যের মূল রহস্য। প্রাসঙ্গিক ভাবেই প্রনিধানযোগ্য, কলেজের সুশৃংখল একাডেমিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটিকে গুনে, মানে এবং বৈশিষ্ট্যে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। একাডেমিক ব্যবস্থপনা সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য কলেজের ৬০ জন শিক্ষককে ৫টি দলে বিভক্ত করে প্রত্যেক দলের(১২জন সদস্য) ১জন দল নেতার নেতৃত্বে ৫টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এই মনিটরিং টিমই এই কলেজের সাফল্যের প্রাণভোমরা। মনিটরিং টিম প্রতিদিন যে কাজগুলো করে:
১) প্রত্যেক দিন দল নেতা সহ সকল সদস্য সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে মনিটরিং সেলে হাজির হন।
২) টিমের ১২ জন সদস্য ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে রুটিন অনুযায়ী সকল ক্লাস যথা সময়ে শুরু ও শেষ হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে নজরদারি করেন।
৩) শ্রেণি কক্ষে ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ
করেন।
৪) কম্বাইন্ড হাজিরা খাতা দেখে অনুপস্থিত ছাত্র/ছাত্রীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাৎক্ষনিকভাবে
অভিভাবকদের অবহিত করা হয়।
৫) ক্যাম্পাসে অযথা ঘুরা-ঘুরি করা ছাত্রের ক্লাসে ঢুকতে বাধ্য করা হয় এবং বহিরাগতদের শনাক্ত করে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হয়।
৬) অধ্যক্ষ মহোদয় কখনো কখনো উপাধ্যক্ষ, দল নেতা এবং সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাসে ঢুকে নীতি,নৈতিকতা, সততা, সহনশীলতা ও দেশপ্রেম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে থাকেন।
৭) প্রত্যেক শিক্ষক তার দলভুক্ত ১০/১৫ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাসিক সমাবেশ করেন এবং তাদের মাসিক লেখাপড়ার অগ্রগতি, মাদকের ভয়াবহ পরিণতি, জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারনা সহ
তাদের ভবিষ্যত জীবনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং এই সমস্ত কর্মকাণ্ড অধ্যক্ষ মোঃ ওমর ফারুক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিজ কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন।