কক্সবাজারের টেকনাফে এক কথিত সাংবাদকর্মীর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা ইদ্রিস গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে টেকনাফ পৌর জাতীয় শ্রমিক লীগ।
শনিবার (৩ আগষ্ট) বিকেলে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পৌর সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে মিছিলে উপজেলা সিএনজি মাহিন্দ্রা চালক সমবায় সমিতির সভাপতি নূরুল হক, আওয়ামী মোটর শ্রমিক লীগের পৌর সভাপতি ছৈয়দ আলম ও বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, গেলো ৩০ আগষ্ট কথিত সাংবাদিক নামদারী চাঁদাবাজ আরাফাত সানী নামক ব্যক্তি পৌরসভার নাইট্যং পাড়া এলাকায় মদপান করে উশৃংখলতা করায়, এলাকার লোক জন তার প্রতিবাদ করে। এসময় সে আরো বেপরোয়া আচরন করলে স্থানীয় লোকজন তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। সেই ঘটনাটিকে ভিন্ন রূপ দিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় জাতীয় শ্রমিক লীগ টেকনাফ পৌর ১ নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিসকে আসামী করা হলেও ঘটনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। পরবর্তীতে টেকনাফ থানা পুলিশ তাকে যাচাই বাচাই না করে গ্রেফতার করে। আমরা এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানায়।
বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক আর আরাফাত সানি হচ্ছে একজন মাদক কারবারী। তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে সরকারী কাজে বাঁধা ও মাদকসহ দুটি মামলা রয়েছে। টেকনাফ থানা (মামলা নং- ১৮/২০১৬ ও ১৯/২০১৬)।
এছাড়াও টেকনাফে কারো বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ হলেই আরাফার সানির কাজ হচ্ছে তাকে প্রতিবাদ ছাপানোর জন্য প্রলুব্ধ করে কিছু পয়সা হাতিয়ে নেয়া। এছাড়াও সে সব সময় ব্যাগে করে সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার নিয়ে ঘুরে, সংবাদ সম্মেলনের হোম সার্ভিস দেয়ার জন্য। তার দৃশ্যমান কোন ব্যবসা বানিজ্য কিছুই নেই। সাংবাদিকতার নামে মাদক কারবারীদের হুমকি ধমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করা তার প্রধান পেশা। এসবের
প্রমান আমাদের হাতে রয়েছে।
অনতি বিলম্বে শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আরফার সানি যদি সাধারন মানুষকে হয়রানী ও তার এসব অপকর্ম বন্ধ না করে, তাহলে টেকনাফের সর্বস্থরের জনতাকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।