রাজশাহীর বাগমারায় আসামি ধরতে গিয়ে র্যাবের দুই সদস্য গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। আহতরা হলেন, র্যাব-৫, রাজশাহীর (র্যাপিট একশান ব্যাটালিয়ান) নায়েক মো. সাইফুল ইসলাম ও র্যাব সদস্য বিজিবির হাবিলদার আফজাল হোসেন।
সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত র্যাব সদস্যরা এসে মচমইল বাজারের লোকজনকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এতে র্যাবের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মারুফ হাসান ও দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত: অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
আহতদের মধ্যে হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সেকেন্দার আলী ও এসআই আব্দুল মজিদসহ ১০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে র্যাবের নায়েক সাইফুল ইসলাম ও বিজিবির হাবিলদার আফজাল হোসেন সিভিল ড্রেসে বাগমারার মচমইল বাজারে এসে পার্শ্ববর্তী দূর্গাপুর উপজেলার শুখানদী গ্রামের বল্টু নামে এক পান ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের ভয় দেখায়।
এ সময় বাজারের লোকজন তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ওই দুই র্যাব সদস্য তাদের কোনো পরিচয় দেয়নি এবং তাদের পরিচয়পত্রও দেখায়নি। এতে সন্দেহ হলে বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে তাদের গণপিটুনি দিয়ে মচমইল বাজারে প্রগতি সংঘ নামে একটি ক্লাব ঘরে তাদের আটকিয়ে রেখে থানায় খবর দেয়।
তাৎক্ষনিকভাবে হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সেকেন্দার আলী ও আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এ সময় অতিরিক্ত র্যাব সদস্যরা এসে বাজারের লোকজনকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
আহত এসআই সেকেন্দার আলী জানান, গত শুক্রবার র্যাব পরিচয়ে সিভিল ড্রেসে মচমইল বাজারের বুলবুল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছে থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এর কয়েক দিন আগে মচমইল বাজারের দেবেন্দ্রনাথ নামে আরো এক ব্যক্তিকে র্যাব পরিচয়ে পিস্তল দেখিয়ে তার কাছে থেকে একই কায়দায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে গত কয়েক দিন ধরেই র্যাব আতংক বিরাজ করছে। এই ঘটনায় হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে।
র্যাব-৫, রাজশাহীর কোম্পানী কমান্ডার সাকিব বলেন, র্যাবের ওই দুই সদস্য তাদের পরিচয় না দেওয়ায় বাজারের লোকজনের সঙ্গে সামান্য ভুল বুঝাবুঝির কারণে এই ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।