কুষ্টিয়া জেলায় একদিনে দুইটি লাঁশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লোকমান হোসেন নামে প্রথম লাঁশটি নিখোঁজের দুদিন পর বস্তাবন্দি অবস্থায় ভেড়ামারা থেকে এবং দ্বিতীয় লাঁশটি কুষ্টিয়া কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর বাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা হাই স্কুল গলির তেল মিলের পাশে ড্রেন ও আবর্জনাযুক্ত স্থানে বস্তাবন্দি অবস্থায় এবং কুমারখালি উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর বাজার এলাকা থেকে লাঁশ দুইটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি রক্সি পেইন্টে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে চাকুরীরত ছিলেন। ১ আগস্ট সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে নিহতের স্ত্রী টুম্পা জানান। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয়ের লাঁশ হিসেবে উদ্ধার হলেও উদ্ধারের পর নিহতের স্ত্রী টুম্পা শনাক্ত করে এটা তার স্বামী লোকমানের লাঁশ ।
এদিকে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর বাজারের মোক্তার হোসেনের মার্কেট এলাকায় আসেন এক বৃদ্ধ। বাজারের নৈশপ্রহরীরা রাতে তাঁকে মার্কেট এলাকায় বসে থাকতে দেখেন। পরে ভোরে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। মৃত ওই বৃদ্ধের আনুমানিক বয়স ৬৫ বছর। তাঁর পরনে ছিল কালো রঙের প্যান্ট। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইমরান হোসেন বলেন, গতকাল রাতে মোক্তার হোসেন মার্কেটের সামনে আসেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর কাছে ঠিকানা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো নাম-ঠিকানা বলতে পারেননি। পরে তাঁকে একটি বোতল থেকে পানি খেতে দেখি। এরপর আজ ভোরে মারা যান ওই বৃদ্ধ।
কুমারখালী থানার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
ভেড়ামারা থানার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, নিখোঁজের দুইদিন পর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রক্সি পেইন্টের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনের বস্তাবন্দী লাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। লোকমান হোসেন চৌড়হাস এলাকার বাসিন্দা।
তিনি রক্সি পেইন্টের এরিয়া ম্যানেজার ছিলেন। ১ আগস্ট ভেড়ামারা থেকে নিখোঁজ হলে ভেড়ামারা থানায় জিডি করেন তার স্ত্রী। এরপর বুধবার তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আশা করছি খুব শীঘ্রই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হবে। এই ঘটনা এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে। খুব শীঘ্রই হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ,ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীনেশ সরকার , ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত, ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নান্নু খান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স।