রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন ধরমপুর পূর্বপাড়া লিচু বাগান এলাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিক্তা আক্তার (২০) মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করেছে আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মো: আব্দুল্লাহ ইশতিয়াক রাব্বি (৩০)। সে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার পোড়াহাটির মো: ইউনুস আলীর ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার জোতপাড়া এলাকার লিয়াকত আলী জোয়ার্দ্দারের মেয়ে মোছা: রিক্তা আক্তার (২০) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী। রিক্তার সাথে আব্দুল্লাহ ইশতিয়াক রাব্বী’র বিবাহ হয়। বিবাহের পর রিক্তা ও ইশতিয়াক রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর পূর্বপাড়া লিচু বাগান এলাকায় ভাড়া থাকতো। রিক্তার বাবা জানান, বিবাহের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো এবং রিক্তাকে ইশতিয়াক মারপিট করতো। এর জের ধরে ইশতিয়াক গত ২৯ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ রাত সাড়ে ১১ টায় রিক্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গ্রীলের সাথে ওড়না দিয়ে রিক্তার গলা পেঁচিয়ে রাখে। রিক্তার বাবা আরও জানায়, রিক্তার লাঁশ ইশতিয়াক নিজেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মোবাইল ফোনে রিক্তা আত্মহত্যা করেছে বলে তাদেরকে খবর দেয়। রিক্তার বাবা লিয়াকত আলী জোয়ার্দ্দারের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) জনাব মো: মনিরুল ইসলামে তত্ত্বাবধানে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মো: আনোয়ার হোসেন তুহীনের নেতৃত্বে এসআই দীপ্ত কুমার ও তার টিম আসামির অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে আজ ৩০ জুলাই ২০২২ বিকেল সোয়া ৩ টায় মতিহার থানা পুলিশের ঐ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মতিহার থানার ধরমপুর এলাকা হইতে আসামি ইশতিয়াককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে রিক্তার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।