নাটোর জেলার সদর থানাধীন পূর্ব সোনপাতিল এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার প্রধান এজাহার নামীয় আসামী মোঃ রানা (২০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫। বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটার সময় এ অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রানা রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার বীরকুৎসা দেওয়ানপাড়া গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব-৫ এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সাত মাস আগে বাগমারা উপজেলার বীরকুৎসা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে রানা ইসলামের সঙ্গে নিহত গৃহবধূ হোসনেয়ারার (১৬) বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরবর্তীতে গত ১৯ জুলাই শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাঁশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়।
নিহতের পিতা ভ্যানচালক আবদুল মালেকের অভিযোগ, জামাতাকে মুঠোফোন কিনে না দেওয়ায় তাঁর মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ১৮ কিমি ভ্যান চালিয়ে মেয়ের লাঁশ নিয়ে থানায় গেলেন বাবা শিরোনামে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় বাগমারা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ঘটনার পর থেকে র্যাব-৫ উক্ত মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় নাটোর জেলার সদর থানার পূর্ব সোনাপাতিল এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ রানা কে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।