রাজশাহীর পুঠিয়ায় হাছিনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে রড দিয়ে পেটানোর পর শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোনের সরকারি চাকুরির জন্য দাবিকৃত ঘুষের ৫ লাখ টাকা না পেয়ে স্বামী এ হত্যাচেষ্টা চালিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ জুলাই) থানায় মামলা করতে গেলে ভুক্তভোগীর স্বজনদের কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
ভুক্তভোগী হাছিনা দুর্গাপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার জাফর আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্তের নাম শাহিন। তিনি পুঠিয়ার বড় কাচুপাড়া এলাকার মো. রাজিবের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে শাহিনের সঙ্গে হাছিনার বিয়ে হয়। বিয়েতে ৪৫ হাজার টাকা যৌতুক নেন শাহিন। পরবর্তীতে বাসাবাড়ি নির্মাণের জন্য ১০ হাজার ইট ও টাকা দাবি করেন তিনি।
হাছিনার বাবা জাফর আলী বলেন, যৌতুকের জন্য রাতের বেলা ঘরে উচ্চ আওয়াজে টেলিভিশন চালু করে মেয়েকে নির্যাতন করত শাহিন, যাতে বাইরের মানুষ মারধর ও মেয়ের কান্নার শব্দ শুনতে না পায়। সবশেষ গত ২০ জুলাই গভীর রাতে মেয়েকে রড ও লাঠি দিয়ে পেটায় সে। এরপর গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাবেক এক ইউপি মেম্বারকে নিয়ে বুধবার দুর্গাপুর থানায় যাই। তবে মামলা না নিয়ে আদালতে যেতে বলে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাছিনা বেগম বলেন, স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার ননদের চাকুরির কথা চলছে। চাকুরির জন্য ৭ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। সেজন্য আমাকে বাবার বাসা থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে আমার স্বামী। কৃষক বাবার কাছ থেকে এত টাকা ম্যানেজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বুধবার রাতে শুরু হয় নির্যাতন। বৃহস্পতিবার সারাদিন আমাকে বাসায় আটকে রাখে। পরে শুক্রবার লুকিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসি। বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিন বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, থানায় মামলা নেয়া হয়নি, এমনটা হওয়ার কথা নয়। অপরাধ মামলার ক্রাইটেরিয়ায় পড়লে অবশ্যই মামলা নেয়া হবে।