রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন মথুরডাঙ্গা ও চন্দ্রিমা থানাধীন আসাম কলোনী বৌ-বাজার এলাকা থেকে পরিকল্পিতভাবে নারী দিয়ে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে চাঁদা আদায় চক্রের মূলহোতাসহ ০৬ জনকে গ্রেফতার করে আরএমপি মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়,গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আরএমপি মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন বাসা নং-৩৩৫ মথুরডাঙ্গা এলাকার এক বসত বাড়ীর নিচতলা এবং চন্দ্রিমা থানাধীন আসাম কলোনী বৌ-বাজার এলাকায় মোঃ মেহেদী হাসান মিম এর বসত বাড়ীতে বিভিন্ন শ্রেণীর সহজ সরল ব্যক্তিদের নানাভাবে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে অপহরণ পূর্বক নারী দ্বারা অশ্লীল ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, জিম্মি করে মুক্তিপন ও চাঁদা আদায় চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
আটককৃত আসামীরা হলোঃ ১। মোঃ সিহাবুল ইসলাম শিলু (২১), পিতা-মোঃ সাইদুর রহমান, ২। মোসাঃ আসমা আফিয়া @অহনা @ অধরা (২১), স্বামী-মোঃ সিহাবুল ইসলাম শিলু, এদের সবার বাড়ী বোয়ালিয়াধীন মথুরডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করছেন।
অপরদিকে, ৩। মোঃ স্বাধীন (২১), পিতা-মোঃ মাইনুল হক বাবলু, সাং-আসাম কলোনী রবের মোড়, ৪। মোঃ সাগর আলী (২২), পিতা-মোঃ সাহেব আলী, সাং-শিরোইল কলোনী ০৪ নং গলি ৫। মোঃ মেহেদী হাসান মিম (২১), পিতা-মোঃ মামুনুর রশিদ, সাং-আসাম কলোনী বৌ-বাজার, ৬। মোসাঃ প্রিয়া আক্তার @ মায়া @ টুসু (১৯), পিতা-মোঃ রমজান আলী এদের সবার বাড়ী চন্দ্রিমা থানাধীন হাজরা পুকুর ডাবতলা নিউকলোনী এলাকার বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, এরা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন শ্রেণীর সহজ সরল ব্যক্তিদের নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে অপহরণ পূর্বক নারী দ্বারা অশ্লীল ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, জিম্মি করে মুক্তিপন ও চাঁদা আদায় করে আসছিল।
এ সময় তাদের কাছে থেকে মুক্তিপন, চাঁদা ও প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা হতে নগদ-২,৫০০/- টাকা, অপরাধ কর্মে ব্যবহৃত ০১ টি চাকু ও আসামীগণ কর্তৃক কেড়ে নেওয়া ভিকটিমের ০১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে চন্দ্রিমা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।