অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণীর লাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন খুলনা মেট্রোর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার লাবণী। সেখান থেকে তার গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মাগুরা পুলিশ লাইনস ব্যারাকের ছাদ থেকে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের ধারণা। তার লাঁশও মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কামরুল হাসান জানান, রাতের ডিউটি থেকে ফিরে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ ব্যারাকের চারতলার ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন মাহমুদুল হাসান। তিনি দেড় মাস আগে খুলনা থেকে বদলি হয়ে মাগুরা আসেন। সেখান খুলনা মেট্রোর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
লাবণী ও পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের আত্মহত্যার মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দুটি আত্মহত্যার মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কামরুল হাসান।