সাভারের আশুলিয়ায় ষড়যন্ত্র করে মানিকগঞ্জ আদালতে নারী দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে এক সাংবাদিককে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার সত্যতা মেলায় এবং সাংবাদিকতার সাথে কোনো রকম সম্পৃক্ত না থাকায় “আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাব” এর কার্য্য নির্বাহী পর্ষদের সিদ্ধান্তে কিছু সদস্য ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এই বহিষ্কারের জের ধরেই বহিষ্কৃত চক্র রিপের্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ জেলা আদালতে এক নারী দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করান। এবং এই চক্র শাহ আলমের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালাতে থাকে।
এই মামলায় রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ আদালতে জামিন নিতে গেলে তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
মামলার বাদিনী মোসাঃ বেবী আক্তার (২৭) নীলফামারী জেলা কিশোরগঞ্জ থানা দক্ষিণ বড় ভিটা গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে বলে মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে।
তবে বেবী আক্তার মানিকগঞ্জের যে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পুর্ণ করার দাবি করেছেন সেই কাজী বলেছেন, আমি এই বিয়ে করায়নি। আমার সীল এবং সক্ষর জাল করে কাবিন নামা তৈর করেছে।
এদিকে মামলায় যে বাড়ির কথা উল্লেখ করেছে সেই বাড়ির কেউ মামলার বাদী বেবী কে চিনেইনা।
অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার বাদীনির যে ঠিকানা দেওয়া আছে, সেই ঠিকানা সঠিক না। এবং মামলা দায়েরকালীন বেবী আক্তার যে জন্ম নিবন্ধনের কপি দেখিয়েছেন তা অনলাইনে খোঁজ নিয়ে তারো কোনো সত্যতা পাওয়া যায় নি।
এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় সাংবাদিক কে হয়রানি করায় ফুঁসে ওঠতে শুরু করেছ সাভার-আশুলিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন শ্রেণীর সংবাদ কর্মীরা।
সাংবাদিক শাহ আলমের ছেলে জসীম উদ্দিন বিজয় বলেন, আমার বাবাকে হয়রানী করতে ক্লাবের বহিঃকৃত সদস্য কামাল হোসেন ওরফে (হল কামাল) ও মাসুদ রানা (অটো মাসুদ) মানিকগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সাজানো মিথ্যা ভুয়া মামলা দায়ের করিয়ে আমার নিরপরাধ বাবার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে মান সন্মান নষ্ট করার পায়তারা করছে।