সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের কালনাকুড়ি জলমহালের ইজারাদার সবুর খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্থানীয় দুই গ্রামবাসী ও জেলেদেরকে ইজারা বহির্ভূত জায়গায় মাছ ধরতে বাধা নিষেধ করাসহ তাদেরকে মারধরের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর আড়াইটায় ওই ইউনিয়নের লক্ষণখলা আনন্দ বাজারে বাখরপুর ও লক্ষণখলা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন কালনাকুড়ি জলমহালটি আয়তন ৪৪ একর ৬৮ শতক। ১৪২৭ বঙ্গাব্দ থকে ছয় বছরের জন্য ইজারা পায় সেলবরষ ইউনিয়নের মাইজবাড়ি বীর দক্ষিণ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। এ জলমহালের পার্শ্ববর্তী দুই গ্রামবাসীর যৌথ মালিকানায় তালুকী ও ক্রয়সূত্রে ব্যক্তিমালিকানা ১৪৯ একর সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তিতে দীর্ঘ বছর ধরে স্থানীয় জেলেসহ দুই গ্রামবাসী মৎস্য আহরণ করে আসছে। সম্প্রতি গ্রামবাসীসহ স্থানীয় জেলেরা ওই জায়গায় মাছ ধরতে গেলে ইজারাপ্রাপ্ত সমিতির সভাপতি সবুর খান চৌধুরী ও তার লোকজনের বাঁধার সম্মুখীন হয়। যার প্রতিকার চেয়ে রবিবার মানববন্ধনের আয়োজন করে দুই গ্রামবাসী। মানববন্ধনে লক্ষণখলা গ্রামের বাসিন্দা রিফুল আলমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাজে মাস্তান, সাবেক ইউপি সদস্য খালেদুজ্জামান খোকন, বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা নিপেন্দ্র বিশ্বাস, নিরঞ্জন তালুকদার, ওহেদুজ্জামান চৌধুরী, সাইফুল চৌধুরী, আলাল, আলী হোসেন, রইছ উদ্দিন, ল²ণখলা গ্রামের মিসির মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘ব্যক্তিগত জায়গায় কেউ মাছ ধরতে গেলে ইজারাদারের লোকজন তাদেরকে ভয়ভীতি ও মারধরের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। তাই জলমহালের সীমানা নির্ধারণের দাবি জানাই।’
ইজারাদার সবুর খান চৌধুরী বলেন, ‘মানববন্ধনকারীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি তাদেরকে কোনোভাবে অত্যাচার করিনি। তারা আমার জলমহাল দখল করে পাহাদারদের তাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অত্যাচারে জলমহাল ছেড়ে চলে এসেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘এ সমস্যা সমাধানে সরেজমিন পরিদর্শন করে সার্ভেয়ার দিয়ে দ্রæত জলমহালের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।’