বন্যায় তছনছ হয়ে গেছে অনেকের সাজানো ঘরবাড়ি। তাই তাদের ঈদ করতে হয়েছে খুপরিঘরে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সামর্থ্য না থাকায় অনেকে কোরবানি দেয়নি। কিন্তু হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় শেষ মুহূর্তে গরুর সংকট দেখা দেওয়ায় অনেকে, কোরবানি দিতে পারেনি। দুর্গম চরের মাত্র কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হলেও বেশির ভাগ মানুষ কোরবানির মাংসও পায়নি বলে যেমনটি জানিয়েছেন ক্রাইম নিউজ টোয়েন্টিফর ডট নেটের অনুসন্ধানী টিমকে।
হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকারি বানভাসি মানুষদের কারও ঘরবাড়ি নিম্নাঞ্চলে যাদের ঘরবাড়ি একটু উঁচুতে তাদের বাড়ী থেকে পানি নেমে গেলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, আবার কারো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না, হলেও বন্যার পানির সাথে যেসব ময়লা-আবর্জনা ঢুকে ছিল তাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। হুট করে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর মেরামত বা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার মতো পরিস্থিতি এসব বানভাসি মানুষের অনুকূলে আসেনি।
এ-কারণে নিরুপায় হয়ে, আশ্রয় কেন্দ্রেই এবার ঈদ করতে হয়েছে বানভাসি মানুষদেরকে। অন্যান্য বছরের মতো স্বাভাবিক পরিবশে ঈদ করতে না পারায় কিছুটা বিষাদময় ঈদ উদযাপন করতে বলা হযেছে তাদেরকে। তবে প্রশাসনসহ কিছু ব্যাক্তি ও সংগঠন তাদের সুখ-দু:খের সাথী হওযায় অনেকটা ভালোও লেগেছে তাদের সুখ ও দু:খের অনুভুতি। জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার এবার ১৫ হাজার ৩৯৯ জন মানুষের ঈদ কেটেছে আশ্রয়কেন্দ্রে। যা আমরা দেখে আসছি সরে জমিনে -তবে এসব বানভাসি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে খাবার নিয়ে ছুটেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উন্নতমানের খাবার তুলে দেন। এদিকে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে খিচুড়ি দেওয়া হয়। এবার ঈদে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকারিদের শতাধিক বানভাসি মানুষের মাঝে ঈদের দিন ভাত এবং খাসির মাংস রান্না করে বিতরণ করা হয়। সরকারিভাবে এবার ছামড়ার দাম বৃদ্ধি করা হলেও স্থানীয়ভাবে দর পাননি বিক্রেতাগণ।