ঘটনার ১৫ দিন পর গত মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে বাগানের ২ নৈশ প্রহরীসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাাসাবাদের জন্য আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। এদিকে বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, গত ২৮ জুন দিবাগত রাতে দুবৃর্ত্তদের দেয়া আগুনে দলই চা বাগানের ৫টি অফিস কক্ষে ৫২ বছরের রক্ষিত সকল নতিপত্র পুড়ে যায়। তখন আগুনের লেলিহান শিখায় বাগানের ২ নৈশ্য প্রহরী প্রসাদ পাশী (২৬) ও সৎ নারায়ন রাজভর (৩০) গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট রাগিব রাবিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে প্রসাদ পাশীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে ১৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ জুলাই ভোরে প্রসাদ পাশি মারা যান। এরপর ১২ জুলাই রাতে কমলগঞ্জ থানার এসআই নিয়াজ আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন চা বাগানের ২ নৈশপ্রহরী কামাল আলী, মাহবুব এলাহী ও বাগানের বাসিন্দা ভুট্রো মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার সকালে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল দলই চা বাগান পরিদর্শন ও নিহত প্রসাদ পাশির পরিবারকে শান্তনা জানান মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।
এসময় তিনি উপস্থিত চা বাগানের শ্রমিকদের বলেন, পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। এই ঘটনা যে বা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার জন্য চা বাগানের নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানী করা হবে না।
কমলগঞ্জ থানার এস আই নিয়াজ আহমেদ চা বাগানের ২জন নৈশ প্রহরীসহ ৩ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।