রাজশাহী নগরীতে সানি (১৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও তার মা মহিলা দল নেত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার প্রতাপ গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- রাজশাহী নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার মঈন ওরফে আন্নাফ (১৭), তার মা বিথী (৩৬) এবং আন্নাফের বান্ধুবী হাবিবি কুমকুম ওরফে সাবা ঐশী (১৭)। এদের মধ্যে মঈন মামলার প্রধান আসামি। তার মা বিথী মামলার ৫ নম্বর আসামি। তিনি রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
সানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ঐশী এজাহারভুক্ত আসামি নন। তবে র্যাব বলছে, ঘটনার সঙ্গে তিনিও জড়িত। তাই তিনজন একসঙ্গেই পালিয়ে ছিলেন। তিনজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ড জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার বিকালে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ মামলায় এখন পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশের অভিযানে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এজাহারভুক্ত ৪ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তার ৩ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত (৩ জুলাই) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানিয়েছে, সনিকে যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন অন্য আসামিদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া ঐশীও ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য বন্ধুকে দেখতে গিয়ে সনিকে দেখতে পান তারা। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাই সনিকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, সনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আসামিরা গা ঢাকা দেন। তারা বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে প্রধান আসামি মঈনের মা বিথী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ের খান বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক মো. খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ৫ জুলাই খোকন আসামি বিথীকে একটি মাইক্রোবাস ঠিক করে দেন। সে মাইক্রোবাসে বিথী, মঈন ও ঐশী নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর হয়ে কুড়িগ্রামে পালিয়ে ছিলেন।