সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নে ভিজিএফের বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে অপেক্ষা করেও কয়েকজন কার্ডধারী চাল পাননি। এছাড়াও চাল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেলবরষ ইউনিয়নের ১ হাজার হতদরিদ্রের মধ্যে বিতরণের জন্য ভিজিএফের ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা প্রত্যেক ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদেরকে তাদের কার্ডের বিপরীতে প্রত্যয়নের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত চাল বুঝিয়ে দেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীর মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্যে বলে দেন তিনি। গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১টি ওয়ার্ডের চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরও ৮টি ওয়ার্ডে চাল বিতরণ চলছিল। কিন্তু ওইদিন দুপুরের দিকে উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহŸায়ক শাহ আব্দুল বারেক ছোটন কয়েকজন উপকারভোগীর চাল মিটারে ওজন দেওয়া হচ্ছে এমন কয়েকটি ভিডিও চিত্র ফেসবুকে আপলোড করেন। ছোটন আগের দিন শাহ আব্দুল বারেক ছোটন এমন আশঙ্কা থেকে ইউনিয়নবাসীসহ উপকারভোগীদেরকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন।
চাল না পাওয়া ৪ নং ওয়ার্ডের মাটিকাটা গ্রামের মর্ত্তুজা বেগম, রিপা আক্তারসহ কয়েকজন কার্ডধারী জানান তারা চাল পায়নি।
৪, ৫ ও ৬ নং ইউপি সদস্য তামান্না আক্তার বলেন, আমি ৫০ জনের চাল পেয়েছি। কিন্তু চাল নিতে অন্তত ৭০ জন চলে এসেছে। অতিরিক্ত লোকদেরকে ৩/৪ কেজি করে চাল দিতে হয়েছে। এমনটি আরও কয়েকজন ইউপি সদস্য করেছে। এমনটি করায় ৫ জন কার্ডধারীকে আমি চাল দিতে পারিনি। আমি তাদেরকে চাল কিনে দিয়ে দিবো।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদেরকে প্রাপ্ত কার্ডের বিপরীতে বরাদ্দকৃত চাল বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। যার লিখিত প্রত্যয়ন আমার কাছে রয়েছে। চাল ওজনে কম দেওয়া হয়েছে এবং কোনো কার্ডধারী চাল পায়নি- এমনটি কোনো উপকারভোগী আমাকে জানায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।