রাজশাহী নগরীর বেলদারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকায় ছুরিকাঘাতে সোহেল রানা নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ০৫ জুলাই মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড শিরোইল কলোনি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে।
সে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েম্যান পদে নওগাঁ সান্তাহারে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, ফারুক সোহেল রানাকে রাত ১০ টার দিকে নগরীর বেলদারপাড়ায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সাগরের বাড়িতে মদ পানের জন্য নিয়ে আসে। এরপরে ঘটনাটি ঘটেছে। বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাকু ও চাকুর কভার উদ্ধার করেছে।
একই সাথে ঘটনাটি মুরগির ট্রলির আঘাতে ঘটেছে বলেও প্রচার করা হয়। কিন্তু ট্রলির আঘাতে কেবলমাত্র হাটুর নিচে পিছন দিকে গভীর ক্ষত হওয়ার কথা নয়। ট্রলির আঘাত লাগলে পা ভেঙে যাওয়ার কথা। এছাড়াও হাত-পা-মাথা অক্ষত থাকার কথা নয়। নিহত সোহেল রানার রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গেছে বেলদারপাড়া চেয়ারম্যানের বাড়ির সড়ক থেকে অন্তত ১৫ ফুট দূরে পায়ে হাটা রাস্তায়।
নিহত সোহেল রানার বোন জানান, রেলওয়ে কলোনি এলাকার ফারুক তার ভাইকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘটনাটি ঘটেছে। ফারুক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাকে মাতাল অবস্থায় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শোনা যায়।
ঘটনার মূল সন্দেহভাজন ব্যক্তি ফারুক, মদ বিক্রেতা এবং রাজশাহী মেডিকেলে যারা নিয়ে গেছে জরুরী বিভাগ থেকে তাদের নাম ঠিকানা ও সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে। হাসপাতাল পুলিশ বক্সের দায়িত্বশীল সদস্যরাও বিষয়টি জানেন যে কারা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাঝারুল ইসলাম, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দূর্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।