রাজশাহীতে রামেক হাসপাতাল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরের হেতেমখা সবজিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সানি (১৭)। তিনি রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখির ছোট ছেলে। সানি এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নগরের বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবনা এলাকায়।
পুলিশ ও নিহত কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতে আহত এক বন্ধুকে হাসপাতালে দেখতে যায় সানি। এ সময় কয়েকজন যুবক হাসপাতাল থেকে তাকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা তাকে হেতেমখা সবজিপাড়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে সানিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। তাদের আহাজারি-আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠে হাসপাতালের বাতাস। নিহত সানির বাবা বলেন, আজ সানির জন্মদিন। সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বন্যার কারণে তাদের পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। খেলতে গিয়ে তার এক বন্ধু আহত হয়। তাকে দেখতে সে হাসপাতালে আসে।
তিনি আরও বলেন, হেতেমখা সবজিপাড়া এলাকার বিএনপি নেতা দিতির ছেলে আন্নাফ দলবল নিয়ে গিয়ে সানিকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সানির লাঁশ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান শুরু হয়েছে। আশা করছি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং জোনের মহিলা কাউন্সির সামসুন নাহার। এ সময় তিনি নিহত পরিবারের সদস্যদের তোপের মুখে পড়ে। হাসপাতালের সামনে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতরা তার পরিচিত বলে অভিযোগ তুলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।