রাজশাহী বিএডিসির উপ-পরিচালক পাট-বীজ কার্যালয়ের এক তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ও সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেখানে ওই সিবিএ নেতা হারুন বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেই জানা গেছে। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগও জমা হয়েছে।
জানা গেছে, হারুনের নিজ বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। সে সুবাদে এবং সিবিএ নেতা হওয়ার কারণে অন্যান্য কর্মচারীদের বিভিন্ন জেলায় বদলি বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা অবৈধপথে আয় করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, অফিসের বিভিন্ন কেনাকাটা ও ছোট ছোট কাজের জন্য কোটেশনের কাজ, অফিস টেন্ডার, বিজ্ঞাপন বিল ও সরকারি বাজেটসসহ সবকিছু তিনি একাই নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ।
সরজমিনে অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন মিস্ত্রী টাইলসের কাজ করছেন। আর এই কাজও টেন্ডার ছাড়াই করছে হারুন নামের ওই সিবিএ নেতা। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, এটা কোনও টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে না।’
ছোটখাটো কাজ বিল-ভাউচারের মাধ্যমেই তাঁরা করে থাকেন বলেও স্বীকার করলেন তিনি।
এ সময়ে তাঁর অফিসের টেবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফাঁকা বিল-ভাউচার দেখা যায়।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ঠিকাদারের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজে কাজগুলো করিয়ে নেন তিনি। বর্তমানে তিনি ১৪ লাখ টাকার কাজ করছেন আজাদ নামে এক ঠিকাদারে নামে (মাধ্যমে)।
জানা গেছে, রেলগেট সংলগ্ন পাট বীজ অফিসের প্রাচীর ও গেট নির্মাণেও তিনি দুর্নীতি করেছেন।
আরও জানা গেছে, সিবিএ নেতা হওয়ায়, সেই ক্ষমতাবলে তিনি ইচ্ছেমতো অফিস করেন। অনেক সময় ছুটির দিন ও রাতের অন্ধকারেও অফিস করেন বলেই একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তাঁর এমন কর্মকাণ্ডের পরও কর্তৃপক্ষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না বলেই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
শুধু তাই নয়, নিজের গাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের মর্জিমতো অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, প্রতিপক্ষ আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দুদকের কাছে অভিযোগ করেছে।
ঘটনার বিষয়ে বিএডিসির পাট বীজের উপ-পরিচালক ফজলে রাব্বি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। আর এ অভিযোগের বিষয়ে বিএডিসি চেয়ারম্যানের নিকট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঠাবেন। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেই জানান এই কর্মকর্তা।