সূত্রে মতে, বুধবার (২২শে জুন) আনু: বিকাল ৪টার সময় মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনকে তার বসতবাড়িতে ডাকপিয়ন একটি রেজিষ্ট্রি চিঠি প্রদান করে। ছেঁড়া খামের উপরে হাতে লেখা কোড নং- B,০৫২। তারিখ – ৯/৬/২০২২ এবং ইংরেজী ও বাংলায় ‘খুলনা সিটি প্রধান ডাকঘর’ লেখা সিলকৃত। উক্ত চিঠির খামের উপরে প্রেরকের স্থলে বীরমুক্তিযোদ্ধার নাম ঠিকানা এবং প্রাপকের স্থলে সিআইডি প্রধান কার্যালয়, ঢাকা ঠিকানা উল্লেখ ছিল। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় দ্রুত খামের ভিতরের কাগজগুলি বের করে দেখতে পান, একটি অভিযোগপত্রে কে বা কারা মোংলাপোর্ট বন্দরের আভ্যন্তরিন বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর গনভবনের ঠিকানায় বিনীত নিবেদকের স্থলে নিজের নাম মো: দেলোয়ার হোসেন লেখা রয়েছে। এমনকি সমাজের কাছে সন্মানহানী, হেয়প্রতিপন্ন, হয়রানী এবং কঠিনতর ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধার নাম বসানো কাগজগুলির অনুলিপিও গনভবনসহ সিআইডি’র প্রধান কার্যালয় এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে প্রেরণ করেছে কতিপয় কুচক্রী মহল।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি মোংলা পোর্ট বন্দরের আভ্যন্তরীণ।তবে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৪/৫ বৎসর যাবৎ এই বীরমুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনকে এলাকার কতিপয় চক্রান্তকারী প্রাণেশ সরকার, সুদিপ সরকার এবং উত্তম সরকার গং বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হয়রানী করিয়া আসিতেছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ সহ বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কোনো ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর হীনস্বার্থের পরিপূর্ণতায় দেশের সূর্যসন্তান একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সাথে রাষ্ট্রের ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় আসুক এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।