শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়ন বাজার ইছামতি খাল সংলগ্ন পশ্চিম পাশে সরকারী জমি ভরাট করে ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভূমি দস্যু মোঃ লুৎফর রহমান।
জানা যায়,খালের পার ঘেষা এ অংশটি দিয়ে এক সময় বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে ব্যপক চলাচল ছিলো,অত্র এলাকার লোকজন এখানে তাদের নৌকা রাখা ছাড়াও পণ্য নামানোর ঘাট ছিলো। বিগত কয়েক বছর ধরে স্হানটি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেন সেন্টু ও বাবু পিতা,ইয়ানুস বেপারী নামক দুই ভাই। তাদের দাবি এখানে তাদের পৈত্তিক ভূমি রয়েছে সাত শতক। হালে কতিথ মালিক হতে জমিটি ক্রয় করেন লুৎফর রহমান। দীর্ঘ সময় জমিটি জনচলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হলেও কয়েক বছর পূর্বে স্হানীয় জামাল হোসেন সরকারী রাস্তা ঘেষে রিক্সার গ্যারেজ নির্মান করে জমিটির আংশিক দখলে নেন। অনুসন্ধানে সিএস এস এ ও আর রেকর্ড যাচাই বাছাই করে দেখা যায়, জমিটির মূল মালিক ছিলেন ধীজেন্দ নাথ চৌধুরী তিনি সম মত খাজনা পরিশোধ না করায় ১৯৫৮ সালে সরকার জমিটি নিলাম ঘোষণা করলে ইছা তালুকদারের মাতা আছিরন নেছা নিলামটি সব্বোচ্য মূল্যে ক্রয় করে নেন,। তারই ধারা অনুযায়ী এসএ ও আর এস রেকর্ডে ইছা তালুকদারে নাম রেকর্ড ভূক্ত হয়। মন্টু ও সেন্টুর পিতার নামের সাথে কাগজে সামান্য মিল থাকায় অসহায় বৃদ্ধ ইছা তালুকদারের সম্পত্তি দখল করে নেন। জমি ফিরে পাওয়ার চেস্টায় ইছা তালুকদার একাধিক মামলা ও জিডি দায়ের করলেও মৃত্যুর আগে জমিটি আংশিক দখলে থাকলেও মৃত্যুর পর দখলে নিয়ে নেন ভূমি দস্যু চক্রটি। তার মুত্যুর পর জমিটি দখল নেওয়া সহজ হয়ে যায়। সঠিক কাগজ পত্র না থাকলেও জমিটি লুৎফর রহমান কথিত মালিক সেন্টু মন্টু হতে বিক্রয় বায়না করেই, সরকারী হালট ও প্রতিবেশী ইবাদত ও মনিরদের অংশসহ বালু দিয়ে ভরাট করে দখলে নেন। সরজমিনে দেখা যায়, ভরাট কৃত বালুর এক পাশ হতে অন্য পাশ অবধি লাল চিন্হিত খুটি দিয়ে সরকারী সীমানার রেখা টানা হয়েছে, কিন্তু অনুমতি ব্যতিরেকে বালু ভরাট করার পরও ভূমি কর্তাগণ আইনগত আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন না করে দখলকৃত জমির সীমানা মেপে চিন্হিত করেন।চিন্হিত সীমানাও ইতো মধ্যে দখল হয়ে গেছে। অন্য দিকে দখল করে নিয়েছেন ইছামতি খালের কিছু অংশ। সরজমিনে চোখ বুলালেই চখে পরবে এমন চিত্র।