পূর্বশত্রুতার জেরে ৬০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মৎস্যচাষীর প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। এতে সর্বশান্ত হয়ে গেছে ওই মৎস্যচাষী। সোমবার(১৩ জুন) গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের শুল্কীর বিলে ওই ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, ৬০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে গেছে। মাছ ঘের হতে জাল দিয়ে তুলে ঘেরের উপরে রাখা হয়েছে। স্তুপকৃত মাছের পাশে বসে কান্নাকাটি করছেন ঘের মালিকের স্ত্রী নাছিমা খাতুন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আলিম, রশিদ, জাহিদ, মোস্তাফিজুরসহ আরো অনেকে বলেন, কৈখালি গ্রামের আমজাদ হোসেন, ইমান হোসেন, আনারুল ইসলাম এর সাথে আলী হোসেনের জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ কারণে তারা রাতের আঁধারে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।
লাবসা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও ঘের মালিক আলি হোসেনের স্ত্রী নাছিমা খাতুন বলেন, আমার ছেলে জুলফিকার আলী আত্মীয়ের বাড়ি থাকার কারনে ঘের পাহারা দেয়ার জন্য একই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মুক্তাদির হোসেন রাতে ঘেরের বাসায় অবস্থান করে। রাত আনুমানিক ২ টার দিকে মুক্তাদির আমার কাছে মোবাইল করে বলে যে মৎস্য ঘেরের মাছ পুকুরে লাফালাফি করছে। সংবাদ পেয়েই আমি ও আমার বউমা মুক্তি সুলতানা বাড়ি থেকে মৎস্য ঘেরের দিকে রওনা হই। মৎস্য ঘেরের বেঁড়িতে পৌঁছালে আমরা আমজাদ হোসেন, ইমান হোসেন, আনারুল ইসলামসহ ২/৩ জনকে ঘেরের বেঁড়ি থেকে দ্রæত নেমে যেতে দেখি। আমার ধারণা তারাই আমাদের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাতক্ষীরা থানার এএসআই রওশন আলী সরকার বলেন, মৎস্য ঘেরে ভিষ প্রয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপাওে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষ প্রয়োগের ফলে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ মারা হয়েছে। যে বা যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিত অধিকারী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।