১০ দিন আগে ভাঙন সৃষ্টি হলেও পদক্ষেপ গ্রহন করেনি ঝিনাইদহ পাউবো। বৃহস্পতিবার ভোররাতে প্রধান সড়ক ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়লো গ্রামে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে কুষ্টিয়া ও কাতলাগাড়ীর সাথে যোগাযোগ। ইতোমধ্যে শৈলকুপা উপজেলার চরবাখরবা গ্রামের শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। এছাড়া ভেসে গেছে মাছ চাষের কয়েকটি পুকুর। ডুবে গেছে বাড়িঘর, গাছপালা ফসলাদি। ফলে কুষ্টিয়ার সাথে কাতলাগাড়ী লাঙ্গলবাধ, মাগুরা শ্রীপুর এলাকার সাথে সম্পূর্ণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন কয়েকদিন ধরেই খালে পানির চাপ ছিল প্রবল। চরবাখরবা এলাকা সাইফোন সংলগ্ন ধীরে ধীরে পানি বের হচ্ছিল। বিষয়টি পাউবোকে বার বার অবহিত করা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি। বৃহস্পতিবার ভোরে সেচ খালের পাড় ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ে গ্রাম ও মাঠে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সেখানে একটি ব্রীজ নির্মান করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তুনির্মানধীন সেতুর স্থানে পানি প্রবাহের বিকল্প পথ তৈরি না করায় পানির প্রবল চাপে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল উজানের সেচখাল। বৃহস্পতিবার ভোরে কাতলাগাড়ী বাজারের পশ্চিমপাশে প্রধান সেচখালের পিচঢালা রাস্তাটি ভেঙে পড়ে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়নবোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমানকে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।