বর্তমানে ৫ কোটি টাকার ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক ৪০ হাজার টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার যে বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেছেন, তাতে এই শুল্ক আরও ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের যেকোনো সময় কোনো ব্যাংক হিসাবে অর্থের পরিমাণ ৫ কোটি টাকা স্পর্শ করলেই ৫০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কেটে নেয়া হবে।
নতুন বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংক হিসাব ও বিমান টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক আদায় করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ব্যাংক স্থিতির ওপর ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। শুধু ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ব্যাংক স্থিতির ওপর (বছরের যেকোনো সময়) আবগারি শুল্ক ৪০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’
মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যে পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন, তাতে আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি থাকছে। রাজস্ব থেকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন তিনি।
৫ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও এর নিচের অঙ্কের ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্কে কোনো পরিবর্তন আসছে না।
বর্তমানে কোনো ব্যাংক হিসাবে বছরের কোনো একসময়ে আমানতের পরিমাণ ১ লাখ টাকা পৌঁছালেই আবগারি শুল্ক দিতে হয় ১৫০ টাকা।
৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত স্থিতিতে ১৫০ টাকাই আবগারি শুল্ক দিতে হয় বছরে একবার।
৫ লাখ টাকার ওপরে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় ৫০০ টাকা। ১০ লাখ টাকার ওপরে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত স্থিতিতে ৩ হাজার টাকা, ১ কোটির ওপর থেকে ৫ কোটি টাকার কম আমানতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়।
বছরে কোনো একসময়ে একবার যেকোনো আমানতে স্থিতিসীমায় পৌঁছালেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংকগুলো আবগারি শুল্ক কেটে নেয় গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব থেকে, যা পরে সরকারের কোষাগারে জমা হয়।