মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না কৃষি জমির মাটি কাটা। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দিনে-রাতে ফসলি জমির মাটি কেটে বাড়ি ও পুকুর তৈরী করে যাচ্ছেন । এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্হানীয় কৃষক শ্রেণী। গতকাল মঙ্গল বার দেখা গেছে, উপজেলার কোলা ইউনিয়নের তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছে, আবার কেউ বাড়ি বানাচ্ছে । ভেকুর মাধ্যমে এমনভাবে মাটি কাটছে যে, একটু বৃষ্টি হলেই পাশের কৃষি জমি, জন ও যান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভেঙ্গে পরতে পারে। একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কোলা ইউনিয়নে ভেকু মেশিন দিয়ে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। খোবিপাড়া ও রুখিতপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ৩৫ শতাংশ ফসলি জমি কেটে বাড়ি করবে বলে জানান ,জমির মালিক মোঃ খোকা মোল্লা (৬৫ ) পিতা, মৃতঃ সমির মোল্লা। এ বিষয়ে জমির মালিকের কাছে শ্রেনী পরিবর্তনের অনুমোদনের কাগজ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি, আমার নিকট কাগজ নাই,এ বিষয়ে আমার জানা নাই। রশুনিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী (নায়েব) বলেন, আমার কাছে তো কেউ জানায়নি, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, এখনি আমি অফিস থেকে লোক পাঠাচ্ছি, আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভূমি অফিস থেকে এসে মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ার পরের দিন বুধবার পুনরায় মাটি কাটা শুরু করেন ভূমিদস্যু চক্রটি, বিষয়টি নিয়ে ভূমি অফিস মাটি কাটার অনুমোদন দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, মাটি কাটা তো বন্ধ করে দিয়ে আসছি, অনুমোদন দিবো কি করে, তাহলে আবারো মাটি কাটছে আমি তো জানি না এখনি ব্যবস্থা নিচ্ছি,। এ ব্যপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি ) তাসনিম আক্তার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কে মাটি কাটা বন্ধ করতে বলা হয়েছে।কোলা ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম,সাইফুল ইসলাম মিন্টু বলেন, ইতোমধ্যে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে বুধ বার দুপুরের পর হতে কাজ বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
এ জাতীয় আরো খবর ....