ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে জামিন দিয়েছে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা বেগম মুক্তা বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে জামিন দেন।
এর আগে বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তার জামিন আবেদন করা হয়।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফজলে এলাহীর আইনজীবী মুক্তার হোসেন।
ফজলে এলাহীর স্ত্রী সেলিনা সুলতানা সুমি বলেন, ‘৭ দিনের অন্তবর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এ সময়ের মধ্যে তাকে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে।’
২০২১ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হওয়া মামলায় ফজলে এলাহীকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
ফজলে এলাহী জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক।
কোতোয়ালি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থানা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের ওয়ারেন্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
‘২০২১ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার প্রসেস নম্বর ৮১৭/২২। মামলা নম্বর- ২৮/২১।’
মামলার পরোয়ানায় বাদীর নামের জায়গায় নাজনীন আনোয়ার লেখা রয়েছে। তবে নাজনীনের মা সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর দাবি, তিনিই মামলাটি করেছেন।
চিনু বর্তমানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
মামলার বিষয়ে চিনু বলেন, ‘ডিসি বাংলো পার্কে আমার মেয়ে লিজ নিয়ে রেস্টুরেন্ট দেয়। ৩ বছরের জন্য লিজ ছিল, বিনিয়োগ করেছিল প্রায় ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিসি পরিবর্তন হলে রেস্টুরেন্ট নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। ডিসি অফিসের লোকজনের সঙ্গে রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের বিবাদ হয়।
‘সে সময় এলাহী নিউজ করে যে এই লিজ পেতে আমি আমার প্রভাব খাটিয়েছি। সে আপত্তিকর কথাবার্তা লিখেছে। আমি তখন কোর্টে মামলা করেছি।’
পরোয়ানায় মেয়ের নাম থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের নাম কেন দিয়েছে জানি না, বাদী আমি-ই।’
( সি/নি/টোয়েন্টিফোর)