রাজশাহী মহানগরীতে চুরি করে পালানোর সময় এক চোরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করছে জনতা। চোরাই মালামাল উদ্ধার-সহ পলাতক চোরকে গ্রেফতার করেছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।
আটককৃত আসামিরা হলো রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার কয়েরদারা গ্রামের মো: সাবুরের ছেলে মো: শিমুল (২৫), মালদা কলোনী গ্রামের মৃত আজাহার হোসেন লাটুর ছেলে মো: নাইম (২৫) ও বখতিয়ারাবাদ মালদা কলোনী গ্রামের মৃত লুৎফর শেখের ছেলে মো: রাজ্জাক (৪২)।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, মো: বেল্লাল কাশিয়াডাঙ্গা থানার নগরপাড়া চালকীপাড়া মোড়ের মোটর গ্যারেজের ম্যানেজার। গত ৪ জুন, ২০২২ দুপুর ২ টায় সে কাজে গ্যারেজের বাইরে যায়। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টায় স্থানীয় লোকমুখে জানিতে পারে, তার গ্যারেজ হতে লোহার প্লেন শীট চুরি করে নিয়ে পালানোর সময় গ্যারেজের পিছনে স্থানীয় লোকজন চোরাই লোহার প্লেন শীট-সহ ১ চোরকে আটক করে রেখেছে এবং আর একজন পালিয়ে গেছে।
গ্যারেজের মালিক মো: সুরুজ আলী ও মো: বেল্লাল গ্যারেজের পিছনে এসে দেখতে পায় একটি লোহার প্লেন শীট-সহ ১ চোরকে আটক করে রাখা হয়েছে।
আটককৃত চোর জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, সে ও তার সহযোগী নাইম দুজনে মিলে গ্যারেজের লোহার প্লেন শীট চুরি করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে আরো জানায়, গত ৪ জুন দুপুরে সে ও পলাতক আসামি নাইম মোটর গ্যারেজ হতে নদীর মাটি খননকারী ড্রেজারের অ্যামপুলার, যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা চুরি করে বোয়ালিয়া মডেল থানার মালদা কলোনীতে ভাংড়ি দোকানে বিক্রি করেছে।
পরবর্তীতে বেল্লালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব এস এম মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এসআই মোসা: মৌসুমী সুলতানার ও তার টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ জুন রাত ২.৩০ টায় বোয়ালিয়া মডেল থানার মালদা কলোনীতে অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামি নাইমকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। আটককৃত আসামি শিমুল ও নাইমকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আজ ৬ জুন বেলা ১১.৩০ টায় চোরাই মাল ক্রয়কারী অপর আসামি রাজ্জাকে আটক করে।
রাজ্জাক জিজ্ঞাসাবাদে উল্লিখিত চোরাই মালামাল ক্রয় করার কথা স্বীকার করে এবং সে জানায়, ক্রয়কৃত চোরাই মালামাল অপর ভাংড়ি ব্যবসায়ী মো: আরব আলীর ভাংড়ি দোকানে বিক্রি করেছে। পরবর্তীতে আরব আলীর ভাংড়ির দোকানের গোডাউন থেকে চোরাইমাল উদ্ধার হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।