অনুমোদনবিহীন ভাবে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে মজুদ রাখা হয়েছিলো রাসায়নিক পদার্থ। ডিপো কর্তৃপক্ষ যদি আগুন লাগার শুরুতেই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মতো রাসায়নিক দ্যাহ পদার্থ মজুদের রয়েছে বলে অবহিত করলে এতো মৃত্যু আর ক্ষয় ক্ষতি এড়ানো যেতো। অগ্নিকান্ডের শুরুতে উল্টো মালিক পক্ষ কন্টেইনারের ভেতর খাদ্য ও কাপড় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দাবী করছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রনে আসেনি। অধিকাংশ জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিপোর ভেতরে সুতির কাপড়, তুলা, জুটসহ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’র আরও একটি কন্টেইনার আছে। এগুলোর কারণে আগুনের শক্তি কমিয়ে আনা মুশকিল হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি গাড়ির পাশাপাশি ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে কন্টেইনারগুলো আলাদা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিস্ফোরক পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন ‘বার্তা বাজার’কে জানান, কেমিক্যাল বা দ্বাহ্য পদার্থ পণ্য মজুদের কোনো অনুমোদন নেই বিএম ডিপোর। এই ধরনের পণ্য সংরক্ষণ করতে বিশেষ স্থান ও অবকাঠামোর দরকার হয়। সেটি ডিপোটির ছিলোনা।
অনুমোদন নিহীন রাসায়নিক রাখার অপরাধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- এ ঘটনায় তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মুজিব ও মালিক পক্ষের কারো সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
জানাযায়, অনুমোদন ছাড়াই আল রাজি কেমিক্যাল কমপ্লেক্স কোম্পানির হাইড্রোজেন-পার অক্সাই ভর্তি কেমিক্যাল মজুদ রেখেছিলো। প্রতিটি জারে ছিলো ৩০ কেজি ওজনের এই ভয়ংকর রাসায়নিক পদার্থ। এদিকে আল রাজি কেমিক্যাল কোম্পানিটিও বিএম ডিপো মালিকপক্ষেরই প্রতিষ্ঠান বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় এই পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত ও ৩ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদে মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৮২ জন। ইতোমধ্যে ১২ জন রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত ১০০ জনের বেশি চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।