কলেজ পড়ুয়া দুইজনের বাড়ি পৃথক পৃথক স্থানে হলেও পড়ালেখার জন্য ভর্তি হয়েছে একই কলেজে। একই কলেজে ভর্তির সুযোগে পরিচয় হয় দুইজনের। দুইজনই মানবিক শাখায় অধ্যয়নরত। এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়ে তারা। এরই মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্তও হয়েছে কয়েকবার।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে কোন পরিবার জানেন না। ছেলে-মেয়ের পরিবার না জানলেও জানতেন ছেলের নানি। নানির বাড়িতেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে কয়েকবার। এমন ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারায়।
উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া মহল্লার মতলেব এর ছেলে মামুন একই উপজেলার কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের জনৈকের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। জানা গেছে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই তাদের নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন।
উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া মহল্লার মতলেব এর ছেলে মামুন একই উপজেলার কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের জনৈকের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। জানা গেছে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই তাদের নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন।
শনিবার কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় এইচএসসি প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। পূর্বে থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ থাকায় বেলা ১১ টার দিকে ছেলের নানির বাড়িতে প্রবেশ করে ওই ছাত্রী। ছেলের নানির বাড়ি বাগমারা গ্রামে। কিছুক্ষণ পরে ছেলের বন্ধুরা বুঝতে পারে। পরে তারা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে।
ওই সময় ছেলের নানিও বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং ছেলেকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে যাতে কেউ বুঝতে না পারে ছেলেটি বাড়িতেই রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলে এবং মেয়েকে একই ঘরে তালাবদ্ধ রাখে।
পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে সুরাহার চেষ্টা করলেও মেয়েটির পরিবারের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেনি। পরে কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
ওই ছাত্রী বলেন, আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক জের ধরে একাধিকবার সম্পর্ক করে। আমি মামুনকেই বিয়ে করবো। মেয়েটির এমন কথায় অবশেষে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বিকেলে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শুনলাম উভয় পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে বিয়ের ব্যবস্থা কর হচ্ছে। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।