পদ সৃজন করা হলো আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারী কর্মকর্তাদের। এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ আল মামুন রেজার সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে বিগত ২০১৮ সালে আলমডাঙ্গা কলেজ সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন জারি হলেও অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারী কর্মকর্তারা হতাশার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছিলেন। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, অজানা আতঙ্কে অনিশ্চয়তার একটি কালো মেঘ আমাদের হৃদয়ে বাসা বাধছিলো।কারণ সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার মিঠু বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রণালয় থেকে ঘুরে এসে বিভিন্ন রকম হতাশাজনক কথাবার্তা শোনাতেন,এবং শিক্ষক কর্মচারী কর্মকর্তাদের কাছ বিভিন্ন কাজের অসিলায় টাকা পয়সা নিতেন এবং কালক্ষেপণ করতেন। যার ফলে হতাশার বন্দিদশায় ছিলো আমাদের নিত্য সঙ্গী।পরবর্তীকালে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কঠোর ছাত্র আন্দোলনের ফলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অপসারণের ফলেই এই সফলতা এসেছে বলে এই শিক্ষক মনে করেন এবং তিনি আরো বলে গোলাম সরোয়ার মিঠুর অপসারণ না হলে এই বিষয়ে আরো কালক্ষেপণ হতো এবং সকল শিক্ষক কর্মচারীরা অনিশ্চয়তায় দিনাতিপাত করত, দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে যদি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করে তাহলে নিশ্চয়ই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন ।শিক্ষকমহোদয় এবার মুচকি হেসে বলেন, সবশেষে আমাদের ভাগ্যাকাশে নতুন সোনালী সূর্য উঠেছে, বিনা টাকায় আমাদের সকলের পদ সৃজন হয়েছে এবং একজন ও বাদ পড়েনি বলে সরকারি কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারী কর্মকর্তা খুশি।এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের সাধারণ শিক্ষক মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় এবং মতবিনিময় সভা শেষে মিষ্টিমুখ করানো হয়।