ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে সতন্ত্র মেয়র ও আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজল ও তার বড় ভাই আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল সহ আহত হয়েছেন অন্তত ৭জন। আহতদের মধ্যে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও তার বড় ভাইসহ চারজনের অবস্থা গুরুতর। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। ভাংচুর করা হয়েছে সতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর একটি জীপ। ১লা জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরের ধুপাঘাটা নতুন ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেলা শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। হামলা সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সুত্র থেকে জানানো হয়েছে। সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিজল অভিযোগ করেন, পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামে জনসংযোগ করে গোবিন্দপুর এলাকায় আসা মাত্র আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল খালেকের সর্মথকরা হঠাৎ করে হামলা শুরু করে। এ সময় ইাটপাটকেল নিক্ষেপসহ বেদম ভাবে মারপিট করা হয় তাদের। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি। একই সময় বড় ভাই পিপুলকে বেদম ভাবে প্রহার করতে থাকে হামলা কারিরা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সর্মথকদের হামলায় আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। নির্বাচনে পরাজয় ঠেকাতে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটনানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নিজস্ব লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষনের কথা স্বীকার করেন মেয়র প্রার্থী হিজল। এ ঘটনার বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি বলেন, এক পক্ষে ঘটনা ঘটেনি। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি অভিযোগ করেন সতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর লোকজন আওয়ামীলীগের সর্মথকদের ওপর আগে চাড়াও হয়েছে এবং সতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর থেকে পিস্তলের গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। গুলি বর্ষন করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, পরবর্তী সময়ে জেলা শহরের পায়রা চত্তর এলাকায় পুলিশ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিদের ওপর বেধড়ক লাঠি পেটা করেছে। এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানান তিনি। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, সতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আওয়ামীলীগের জেলা সভাপতির অভিযোগে বিষয়ে তিনি বলেন, সতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলাকারিরা সেখানে অবস্থান করছে এবং রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করছে। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় এবং দুইজনকে আটকের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা। এতে করে উপস্থিত জনতার ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মৃদু লাঠি চার্জ করেছে বলে জানান তিনি। সেই সাথে জেলা শহরে পুলিশের টহল জোরদার করার কথাও জানান এসপি। এদিকে সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে গোটা পৌর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পাড়া মহল্লায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য ১৫ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছে চারজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মোঃ আব্দুল খালেক, সতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুৃম শাহারিয়ার জাহিদী হিজল, মিজানুর রহমান মাসুম এবং ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ সিরাজুল ইসলাম।