কবিরাজের নির্দেশে হারানো যৌবন ফিরে পেতে কৃষিশ্রমিক নকিম উদ্দীনকে হত্যা করেন লিটন মালিতা।
যশোরের বাঘারপাড়ায় কৃষিশ্রমিক সেজে নকিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন তিনি। কবিরাজ আবদুল বারিকের নির্দেশ অনুযায়ী হত্যার পর পুরুষাঙ্গ, অণ্ডকোষ ও একটি চোখ নিয়ে যান তিনি।
লিটন ও কবিরাজ বারিককে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
নকিম হত্যাকাণ্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
গত সোমবার রাতে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে নকিম উদ্দীন খুন হন। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ ও আলামত হিসেবে একটি চাকু উদ্ধার করে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ।
নকিম উদ্দীন বাঘারপাড়া উপজেলার ধুপখালী গ্রামের মৃত দলিলুদ্দিন মোল্যার ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল জানান, কবিরাজ আব্দুল বারেক চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা। আর লিটন মালিতার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদরের মোহাম্মদ জুমা গ্রামে।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে একটি দল ওই দুই জনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। মঙ্গলবার দামুড়হুদা থেকে আবদুল বারেক এবং বুধবার মানিকগঞ্জের ঘিওরের পয়লা ইউনিয়নের চড় বাইলজুরী এলাকা থেকে লিটন মালিতাকে ধরা হয়।
লিটনের কাছ থেকে পুরুষাঙ্গ, অণ্ডকোষ ও একটি চোখ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল।
তিনি জানান, লিটন দীর্ঘদিন ধরে যৌনরোগে ভুগছিলেন। একপর্যায়ে স্থানীয় কবিরাজ আবদুল বারেকের শরণাপন্ন হন। লিটন যে কারও পুরুষাঙ্গ, অণ্ডকোষ ও একটি চোখ উপড়ে এনে দিলে তিনি হারানো যৌবন ফিরে পাবেন বলে জানান কবিরাজ। সেই থেকে লিটন বিভিন্ন জায়গায় মানুষের ওইসব অঙ্গ সংগ্রহের সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
কৌশল হিসেবে ধান কাটার শ্রমিক সেজে যশোরের বাঘারপাড়ার দরাজহাট ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে কাজ নেন লিটন। তিনি কবিরাজের দেয়া মহৌষধের উপকরণ জোগাড় করতে সুযোগ বুঝে নকিম উদ্দীনকে হত্যা করেন। হত্যার পর অঙ্গগুলো নিয়ে মানিকগঞ্জ চলে যান।
ব্রিফিংয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৬ মে ধান কাটার জন্য লিটন ও নকিমসহ তিনজনকে বাড়িতে নিয়ে যান পাইকপাড়া গ্রামের বেনজির আহম্মেদ। গত রোববার বিকেলে পারিশ্রমিকের টাকা নিয়ে একজন চলে যান। লিটন ও নকিম রাতের খাবার খেয়ে এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন।