গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম জনগণের বোঝা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, `বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামের বিষয়টি এখন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাতে। আমি এতটুকু বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী এমন কোনো কিছু করবেন না যাতে বার্ডেন (বোঝা) হয়ে দাঁড়ায়।‘
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত নাগরিক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি না করে আর্থিক ঘাটতি মোকাবিলায় বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেন ক্যাবের সহ-সভাপতি ড. শামসুল আলম।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, `আমাদের লক্ষ্য নির্ধারিত, কাদের জন্য ভর্তুকি দিতে চাই, কত দর রাখতে চাই। আমাদের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বিদ্যুতের মূল্য দেয়ার সক্ষমতা নেই। তাই ভর্তুকি দেয়া হয়। তবে আমি ভর্তুকি বলি না, বলি বিনিয়োগ। কারণ তারা এই টাকা যাতে নিজের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারে। ছেলেমেয়েদের শিক্ষার কাজে খরচ করতে পারে। সারে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বলে কোভিডকালেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আমরা।‘
অনেকে কর তুলে নেয়ার কথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, `এলএনজিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা কর দিচ্ছি। এ কর না দিলেই তো হয়ে যায়। বিদ্যুতেও ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো হবে। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি।‘
অনেকে সাগরসহ স্থলেও গ্যাস অনুসন্ধানের কথা বলছেন বলে জানান তিনি। বলেন, `সার্ভে করার পরও ড্রিল করে অনেক সময় গ্যাস পাওয়া যায় না। অনেকে মনে করেন সমুদ্রে গেলেই কালকে গ্যাস পাওয়া যাবে। এমন ধারণা ঠিক নয়, গ্যাস পেলেও আনতে ১০ বছর সময় লাগবে।
আমরা গ্যাস দিচ্ছি, চাহিদা আরও বেড়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা হচ্ছে। এখনও ৫৫০ থেকে ৬০০ শিল্প সংযোগের আবেদন পড়ে রয়েছে। আমরা চাই শিল্প হোক, কর্মসংস্থান বাড়ুক। গ্যাস আমদানি করতে খরচ পড়ছে ৫৯ টাকা। গ্যাস বিক্রি করছি ৭ টাকায়। সংকটের কারণে ইতালি এসি বন্ধ রেখেছে, এমন হতে পারে আমরা টাকা দিলেও গ্যাস মিলছে না।‘
তিনি বলেন, `আমরা স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। প্রথম পরিকল্পনা ছিল দ্রুত বিদ্যুৎ দেব, তেল দিয়ে উৎপাদনে গেছি। সেখানে সফল হয়েছি, শিল্পের উৎপাদন বেড়েছে, মানুষের জীবনমান বেড়েছে। শিল্প মালিকরা গ্রামে যেখানে কম দামে জমি পেয়েছে সেখান