বাংলাদেশ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি এবং জবাবদিহিতা নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করতে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় তিনি এ পরামর্শ দেন। এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ক্ষুদেবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রে কেন তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করতে পারছে না।’
‘প্রতিবছর প্রায় এক লাখ মার্কিন নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে নিখোঁজ হয়। এমনকি শিশুরা তাদের হিস্পানিক মা-বাবার সঙ্গে পুনর্মিলন থেকে বঞ্চিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করুন, বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়,’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে লেখেন আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এ দেশ শাসন এবং এর উন্নয়নের দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের নয়। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চায়, তাহলে আরটি (রাশিয়ান টেলিভিশন) সম্প্রচারে কেন বাধা দিয়েছে? তারা যদি জবাবদিহি চায়, তাহলে কেন প্রতিবছর এক হাজারেরও বেশি নাগরিককে (বেশির ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক) হত্যার দায়ে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী বা পুলিশের কোনো শাস্তি বা জবাবদিহি হয় না?’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আপনারা কেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রশ্ন করেন না, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয়, তাহলে কেন তরুণ আমেরিকানরা তাদের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না এবং কেন তরুণ আমেরিকানদের মধ্যে ভোট দেওয়ার হার কম? প্রতিটি নির্বাচনে কেন তাদের ভোটারদের প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট দেয়? এটা কি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনপ্রক্রিয়া?’