চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগে ক্যাম্পাসে ডাকা অবরোধে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই নির্ধারিত ক্লাস-পরীক্ষার জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন।
মূল গেটে তালা দিয়ে রাত থেকে নেতা-কর্মীরা অবরোধ করলেও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন প্রায় সাত ঘণ্টা পর।
প্রক্টর বলছেন, তারা ঘটনাস্থলে না থাকলেও পুলিশ ছিল। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্সের কর্মী মো. ইমরান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে হানিফ ও তার অনুসারীরা তাদের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও মো. রাশেদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর রাতেই মূল গেটে তালা দেয় নেতা-কর্মীরা। এতে সকালে শিক্ষকদের কোনো বাস ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি। শাটল ট্রেনও ক্যাম্পাসে আসেনি।
ক্যাম্পাসের ভেতরের সড়কেও গাছের গুড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যারা হেঁটে ক্যাম্পাসে যেতে চেয়েছেন তাদেরও বাধা দেয়া হয়। এমন অবস্থায় অনেক বিভাগই তাদের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র পারভেজ হোসাইন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘অবরোধের কারণে শাটল ট্রেন ও শিক্ষকদের বাস বন্ধ। এতে অনাবাসিক শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষকরা আসতে পারেনি। এ কারণে বিভাগ থেকে আজকের সব ক্লাস ক্যানসেল করা হয়েছে।’
সীতাকুণ্ড থেকে সকালের ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে এসেছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সায়েম সাফায়ত।
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে এসে দেখি মূল গেটে তালা। কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। হঠাৎ করে এই অবস্থা হওয়ায় ক্লাস ক্যানসেল করে দেয়া হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা মো. হানিফ ও তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে অনির্দিষ্টকাল অবরোধ চলবে। তাদের নেতার গায়ে হাত তোলায় অবরোধ ডাকতে বাধ্য হয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা রাত জেগেই ছিলাম। স্পটে আমরা না থাকলেও আমাদের পুলিশ তো ছিল। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভিকটিমদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। বিষয়টা সমাধানের চেষ্টা করছি।’