বাজুবাঘা ইউনিয়নের বড় ছয়ঘটির পাট চাষী আসাদুল ইসলাম জানান, দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর গম কাটার পর পাটের বীজ বপণ করি। আশা করি ভালো ফলন পাবো।
বাউসা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার মিলন আলী নামের এক পাট চাষী জানান,গমের আবাদ শেষে ৪ বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছি। এ বছর ভালো ফলন ও দাম পাবো বলে আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০৩৫ হেক্টর এবং ফলন ৩৪৯০৩ মেট্রিক টন৷ কিন্তু গতবছর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপকভাবে পাট চাষ করেছেন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫০০ হেক্টর বেশি।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এবছর বাঘা উপজেলায় ৪৫৬৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, যা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আশা করি এবছর প্রায় ৫২০০০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদিত হবে। এ ধার অব্যাহত থাকলে পাটের সোনালী ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, উন্নত পাটের জাত যেমন বিজেআরআই তোষা পাট-৮, বিএডিসি-১, বিজেআরআই দেশি পাট-৮ সহ জেআরও ৫২৪ জাত অত্র উপজেলায় চাষ হচ্ছে। পাটের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারীভাবে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছিল এবং আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বীজের প্রাপ্যতা সহজলভ্য করণের জন্য নাবী পাট বীজ উৎপাদনের বিশেষ প্রণোদনা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাট ও পাট বীজ উৎপাদন কলাকৌশল নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।