মোছাঃ খালেদা খাতুন (৩৬), পিতা-মোঃ আশাদুল হক, সাং-আরামডাঙ্গা (মালিতা পাড়া), পোষ্ট-কার্পাসডাঙ্গা, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে মোঃ আনসার আলী (৪০) সাথে বিগত ২২ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। খালেদা খাতুন এর বড় মেয়ে ফাহমিদা আফরিন তন্নি (১৮) এইচএসসি পরীক্ষার্থী। মেঝ মেয়ে আফসানা মরিয়ম দ্বিতীয় শ্রেনীতে এবং ছোট মেয়ে নিশাত আনজুম এশা প্রথম শ্রেনীতে পড়ালেখা করছে। খালেদা খাতুনের কোন পুত্র সন্তান জন্ম না হওয়ায় তার স্বামী আনসার আলী ও শাশুড়ী তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছে। এছাড়াও তন্নিকে তার বাবা বিবাহ দিতে চায় কিন্তু খালেদা খাতুন তার মেয়েকে পড়ালেখা করাতে চায়। একপর্যায়ে খালেদা খাতুনের স্বামী ও শাশুড়ী তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলে সে তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
খালেদা খাতুন তার স্বামী সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য মানবিক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর মাধ্যমে অদ্য ৩০.০৫.২০২২ খ্রিঃ উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে মানবিক পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বিপিএম সেবা এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় খালেদা খাতুন ও আনসার আলী সব বিবাদ ভুলে তাদের তিন কন্যা সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করতে সম্মত হয়। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার প্রত্যক্ষ তত্ত¡বধানে খালেদা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার, ছোট শিশু এশা, মরিয়ম ফিরো পেলো পিতৃস্নেহ।