র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সম্মানিত নাগরিকদের জন্য সার্বক্ষনিক টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে সর্বদাই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয়ে অপরাধ সংগঠনকারী চক্রগুলি সময়ে সময়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠন করে আসছে। এই সমস্ত প্রতারক ও অপরাধী চক্রদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমন সহ বিভিন্ন ধরনের চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ মে ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কেএমপি খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় এক ব্যক্তি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ভুয়া আইডি কার্ড প্রদর্শন করে সাধারণ জনগণদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখে ১০টা ১০ মিনিটের সময় কেএমপি খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন আটরা গিলাতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। আলহাজ মোল্লা(২৩), পিতা-আজাদ মোল্লা, সাং-চালিতাতলা, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইলকে গ্রেফতার করে। এ সময়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামীর হেফাজত হতে ১। বাংলাদশে সেনাবাহিনীর ১টি সোল্ডার ব্যাগ, ২। তন্ময় দাশ নামক সৈনিক পদবীর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লেখা ১টি নকল আইডি র্কাড, ৩। আলহাজ মোল্লা নামে ১টি বানানো প্রিন্টের জাতীয় পরিচয় পত্র, ৪। BANGLADESH ARMY লেখা জলপাই রঙ্গের ১টি হাফহাতা পিটি টি-শার্ট, টিয়া রঙ্গের ১টি ট্রাউজার ও Special Force (COMMANDO) BANGLADESH ARMY লেখা আর্মি কালারের ১টি ফুলহাতা গেঞ্জি, ৫। ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী তার নিকট হতে প্রাপ্ত আইডি কার্ডটি ভুয়া এবং এই ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সে বিভিন্ন মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতো এবং সরকারি চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা করতো বলে সে স্বীকার করে।
জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার খানজাহান আলী থানায় হস্তান্তর করতঃ আসামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।