মোবাইলে প্রেম তারপর বিয়ে কিন্তু পারিবারিক চাপের কারণে স্বামীর কাছে ফিরতে পারছেনা লালমনিরহাটের বধু তামান্না তাসমিম। বিস্তারিত জানা যায় তামান্না তাসনিমের বাসা নড়াইল জেলা সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় ঘটে লালমনিরহাটের বাসিন্দা হামিদুলের সাথে।
তিন বছর সম্পর্কের পর গত ২০/১২ /২১ ইং তারিখে শহর কাজী অফিস আশুলিয়া সাভারে বিয়ের রেজিষ্টেশন সম্পুর্ণ হয়। অতঃপর দাম্পত্য জীবন স্হায়ী করনের লক্ষে গত ২৭/১২/২১ ইং তারিখে লালমনিরহাট জেলা জর্জ কোর্টে এভিডেভিড সম্পুর্ণ হয় যাহার ক্রমিক নং ৪৭৭৫। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কয়েক মাস ঘর সংসার হওয়ার পর উভয় পরিবারে বিষয় টি জানা জানি হয়। এমতাবস্থায় মিমাংসার প্রলোভন দেখিয়ে মেয়ে কে তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলে নিয়ে যায়। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং তার স্বামী হামিদুলের সাথে সম্পুর্ণ রূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
মেয়ে টি বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। স্বামী হামিদুল স্ত্রী কে ফেরত পাওয়ার জন্য স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয় টি মিমাংসার জন্য মেয়ের বড়ভাই খিজির আহমেদ, আশরাফ আলী, রশিদ মিয়া এরা হামিদুলকে নড়াইলে তাদের নিজ বাড়িতে আসতে বলে। এদিকে হামিদুল সরল বিশ্বাসে তাদের গ্রামের বাড়িতে গেলে কোনরুপ মিমাংসা না করে উল্টো ভয় ভীতি দেখিয়ে ফাঁকা স্টাম্প দেখিয়ে বলে বেটা এখানে সাক্ষর কর নইলে প্রাণ নিয়ে লালমনিরহাটে ফিরতে পাবে না। হামিদুল কোন উপায় না পেয়ে ফাকা স্টাম্পে সাক্ষর করে তাদের কবল হতে কোন মতে লালমনিরহাটে ফিরে আসে এবং স্ত্রী উদ্ধারের জন্য লালমনিরহাট জেলা জর্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে যার বিবাদিগন হলেন, খিজির আহমেদ, আশরাফ আলী, মোজাফফর আহমেদ।
এ ব্যাপারে হামিদুলের সাথে কথা বললে সে বলে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তারা আমার প্রতি যে অন্যায় ও জুলুম করেছে তার বিচার আমি আদালতের উপর ছেড়ে দিয়েছি এবং আমার সাথে হওয়া জালিয়াতির জন্য আর একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।