চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ ও সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মিথিলা দাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পুলিশকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধীন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, নাচোলের বিচারক হুমায়ুন কবীর অবৈধ উচ্ছেদের নামে বাড়ি ভাঙার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১০ মে নাচোল উপজেলার কসবা উজিরপুর হাটের ৩০-৪০টি দোকানঘর উচ্ছেদ করার সময় বাদী আব্দুর রশিদের দু’টি পাকা ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়া উচ্ছেদের সময় আসামিদের সঙ্গে থাকা ২০/২২ জন লোক তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা, থালাবাসন এবং আসবাবপত্র লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার সব মিলিয়ে ১৬ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়।
মামলার আবেদনে বাদী দাবি করেন, তার বসত বাড়ির আর এস দাগ নম্বর ১৬৬, যা ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ভোগ দখল করে আসছেন তিনি।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১৫ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, সরকারি ইজারাকৃত হাটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। কারো বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়নি।