ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি ও সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন, সিনিয়র রিপোর্টার রুহুল আমিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে দায়েরকরা ১০ কোটি টাকার মানহানিকর মিথ্যা মামলার দায়েরের প্রতিবাদে এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহীর বাঘা প্রেস ক্লাবের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩-০৫-২০২২) বিকেলে বাঘা প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকসহ ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন পোর্টাল নিউজের সংবাদকর্মীরা এতে অংশ নেন।
ভোরের কাগজের বাঘা প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ মিঞার সঞ্চালনায় ও আবদুল লতিফ মিঞার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- মোঃ নুরুজ্জামান, আমানুল হক আমান, আসলাম আলী, গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, আখতার রহমান, লালন উদ্দিন, শাহানুর আলম বাবু, সাইদুল ইসলাম,আবদুল কাদের নাহিদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসানুজ্জামান প্রিন্স।
বক্তারা বলেন, সিটি নির্বাচনের আগে আইওয়াশ হিসেবেই তিনি ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।
কিন্তু মামলা দিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। এ ধরনের হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বড় ধরনের অন্তরায়। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন পত্রিকা ভোরের কাগজের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অবিলম্বে নিঃশর্ত মামলা প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, মাদকবিরোধী অভিযানের আগে ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি মাদকবিরোধী অভিযানের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শীর্ষ মাদক কারবারি ও এর পৃষ্ঠপোষকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। মাদক কারবারির তালিকায় রিফাতের নাম শীর্ষে ছিল। তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডারবাজির হোতা, বালু খেকো, কুুমিল্লার মাদকের গড ফাদার হিসেবে পরিচিত বলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আগেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ মে ভোরের কাগজে ‘কুমিল্লার শীর্ষ মাদক কারবারি রিফাত এখন নৌকার কান্ডারি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর জের ধরেই মিথ্যা মানহানি মামলা করেছেন আরফানুল হক রিফাত।