দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শিমর দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বি এ পাশের নকল সনদে শিক্ষকতা করা সেই শিক্ষক বহাল তবিয়তে। বিষয়টি নিয়ে গনমাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচার হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে। জানা যায় উপরোক্ত বিদ্যালয়ে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের ১৫-৭-২০০৩ ইং সালের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক পদে গত ২২-৭-২০০৩ ইং সালে শংকর চন্দ্র কর্মকার সহকারী শিক্ষক(কাব্যতীর্থ) পদে যোগদান করেন। তিনি ওই পদে যোগদানের সময় উপজেলার দাউদপুর
কলেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে মানবিক বিভাগ থেকে ২য় বিভাগে পাশ করার বি এ পাশের সনদ দাখিল করেন। যার রোল নং ১৪৪৪২২ রেজিঃ নং ২৮৬৭৬৯ এবং সেশন ১৯৯৯-০০। পাশ করা কলেজে খোঁজ নিতে গেলে কলেজের অধ্যক্ষ বেলাল হোসেনের নির্দেশে অফিস সহকারী এনামুল হক রেজিস্টার দেখে জানান সে ওই
কলেজের শিক্ষার্থী এবং রোল রেজিঃ নং ও সেশন ঠিক আছে।ওই শিক্ষার্থী পরিক্ষাতেও অংশ গ্রহন করেছিল। কিন্তু কৃতকার্য হয় নাই। বিষয়টি নিয়ে শিমর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সহকারী শিক্ষক শংকর চন্দ্র কর্মকারের সনদে ত্রুটি রয়েছে। তিনি ওই শিক্ষককে চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ প্রদান করেছেন। শিক্ষক শংকর চন্দ্র কর্মকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার দাখিলকৃত বি এ পাশের সনদ সঠিক আছে বলে দাবী করেন। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই নকল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।