অবশেষে ঘটনার ২৩ দিন পর চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রলীগের দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার দুপুরে সিলেট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মামলার প্রধান আসামী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উচ্ছাস (৩০) এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাওন (৩২)। তাদের বাড়ি পৌরসভার ভওয়াখালি গ্রামে।
জানাগেছে, গত ২৬ এপ্রিল শহরের পুরাতন বাসটার্মিনালে পৌরসভার অস্থায়ি কার্যালয়ে পৌরসভার ১৪২৯ সালের হাট-বাজার, টার্মিনাল ইজারা সংক্রান্ত সভা চলছিল। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ ৮/১০ জন ছাত্রলীগ নেতা মেয়রের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রবেশ করে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় মেয়রকে গালিগালাজ করে এবং এক পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদার দাবিতে মেয়রকে হত্যাসহ পৌরসভায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক পৌর পরিষদ জরুরুী সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
পৌর পরিষদ উচ্ছাস, শাওন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ অজ্ঞাত ৮/১০কে আসামি করে ওই রাতেই সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলায় মেয়র নিজেই বাদী হন।
আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদানসহ সংবাদ সম্মেলন এবং সবশেষ শহরের চৌরাস্তায় বিশাল মানববন্ধন করে।
অপরদিকে প্রতিপক্ষরা আন্জুমান আরাকে দুর্নীতিগ্রস্থ মেয়র হিসেবে আখ্যায়িত করে তার অপসারন দাবি করে শহরে মানববন্ধনসহ বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে পৌরবাসি।
পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পৌর মেয়রের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় এজাহার ভুক্ত দুই আসামিকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি বলেন,অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।