রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের লক্ষীপুর পালশা গ্রামে প্রেমিক আব্দুর রউফ ওরফে মিলনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনরত তরুণী অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এঘটনায় প্রেমের বিজয় হয়েছে বলে মনে করছে অনেকে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের পাইকপাড়া পাকুরিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইলের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে কবিতা খাতুনের সহিত একই উপজেলার লক্ষীপুর পালশা গ্রামের তাছের আলীর পুত্র আব্দুর রউফ মিলন (২৮) এর সাথে দীর্ঘ ৭ বছর পূর্বে তাদের মধ্য পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং প্রেমিক মিলন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঐ প্রেমিকার সাথে একাধিকবার শরিরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন।
এরই মাঝে হঠাৎ করে মিলন অন্য একজন মেয়েকে বিয়ে করে। কবিতা মিলনের কাছে তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে গেলে। সেখান হতে মিলনের পরিবারের লোকজন সেদিন প্রেমিকা কবিতাকে বিতাড়িত করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার আবারো বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিকা কবিতা প্রেমিকের বাড়ীতে আমরণ অনশনে বসে।
পরে মিলনের পরিবার কবিতাকে পূর্বের ন্যায় আবারো বিতারিত করার চেষ্টা করে অনেক দেন দরবার করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে রাত সাড়ে তিনটার দিকে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোস্তফা ওরফে ভিক্টর উক্ত গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিত ২ লাখ টাকা কাবিলনামা উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি কালমা সম্পূর্ণ করেন।
এ বিষয়টি মিলনের বড় ভাই জালাল এবং ধুরইল ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিষয়েটি নিশ্চিত করেছেন। মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ওই তরুণী অবস্থান নেওয়ার পর ছেলের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।
পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মেয়ের সাথে কথা বলে। ওই মেয়ে আমাদের জানায়, ‘আমি কোনো অভিযোগ দিবো না। শুধু বিয়ে করতে চাই’। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানতে পারছি। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে বলেও জানান ওসি।