রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরে বন্ধ ঘরে স্বামী-স্ত্রীর লাঁশ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ মে) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে পৌছে আলামত সংগ্রহ করার পর পুলিশ স্বামী-স্ত্রীর লাঁশ উদ্ধার করবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
মৃতরা হলেন, উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে সুলতান আলী (৪৫) ও তার স্ত্রী ইসনেহার বেগম (৩৮)। পেশায় ফেরিওয়ালা ছিলেন সুলতান। আর তার স্ত্রী ছিলেন গৃহিণী। ১৭ বছরের ছেলে এবং ১০ বছরের মেয়ের জনক-জননী ছিলেন তারা।
কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের ইউপি (৯ নম্বর ওয়ার্ড) সদস্য মোসাব্বির মন্ডল জানান, মাঝে মধ্যেই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাইরে চলে যেতেন সুলতান। কিন্তু বছরখানেক আগে তিনি গ্রামে এসে স্থায়ী হন। বুধবার দুপুরের দিকে ছেলে-মেয়েরা বাড়ির বাইরে ছিল। ওই সময় সুলতান আলী ও তার স্ত্রী ইসনেহার বেগম বাড়িতে ছিলেন।
বেলা ৩টার দিকে স্বজনরা শোবার ঘরে সুলতানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানায় তার স্ত্রী ইসনেহারের মরদেহ দেখতে পান। গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনিই প্রথমে ঘটনাটি ইউওই চেয়ারম্যান আকতার আলীকে জানান।
ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার আলী জানান, খবর পাওয়ার পর তিনি বিষয়টি থানার ওসিকে জানান। পরে ওসি ঘটনাস্থলে যান। অভাবের তাড়নায় এই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন বলে স্থানীয়দের বরাতে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক জানান, সুলতান আলীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। তার স্ত্রীর মরদেহ ছিল বিছানায়। ধারণা করা হচ্ছে, একজন বিষপানে এবং অন্যজন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুঠিয়ার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, সিআইডির ক্রাইমসিন টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে আলামত নেয়ার পর মরদেহ উদ্ধার করা হবে। তবে ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।