গ্রেফতারী পরোয়ানার ২৫ দিন পর কোর্টে সেরেন্ডার দিতে গিয়ে জেল হাজতে গেলেন সেনিহারী ইব্রাহিম সরকার ওয়াকফ এস্টেটের অব্যাহতি প্রাপ্ত (বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক অফিস, ঢাকা হতে অব্যাহতি প্রাপ্ত) তথাকথিত মোতওয়াল্লী রাজেকুল ইসলাম। জানা যায়, ১৬ মে (সোমবার) বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ বিচারক নিত্যানন্দ সরকার তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের সেনিহারী সরকার পাড়া গ্রামের মৃত নুরল হকের ছেলে হেলাল হোসেনের নিকট হতে প্রায় ৫ মাস আগে ১কেজি পেয়াজের বীজ বাকীতে নেয় বিবাদী রাজেকুল ইসলাম। হেলাল হোসেন ১৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) ২০২২ ইং তারিখে পেয়াজের বীজের টাকা রাজেকুলের নিকট চাইতে গেলে কথা কাটা কাটি (বাক বিতন্ডা) হয়। পরবর্তীতে সকাল ১১টার সময় বাদী হেলাল হোসেন মোটরসাইকেল যোগে স্থানীয় সেনিহারী বাজারে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মামুনের মিল চাতালের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে বিবাদী রাজেকুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে এবং তার স্ত্রী সহ হেলালের উপর আকস্মিকভাবে হামলা এবং বেধরক মার পিট করে। এতে হেলালের মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয় এবং বাদীর মাথার ক্ষত স্থানে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাকালে ৮টি সেলাই করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল হতে ছাড়া পাওয়ার পর হেলাল হোসেন বাদী হয়ে ০৪ জনকে আসামী করে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং জিআর-২১/২২ (রুহিয়া)। বিবাদীগন হচ্ছেন, (১) মোঃ রাজেকুল ইসলাম, পিতাঃ মৃত এমদাদুল হক, (২) নাফি সরকার, (৩) সাফি ইসলাম, পিতাঃ মোঃ রাজেকুল ইসলাম, (৪) মোছাঃ নুর নেহার, স্বামীঃ মোঃ রাজেকুল ইসলাম, উভয়ের সাং- সেনিহারী, ডাকঘর ও থানাঃ রুহিয়া, উপজেলা ও জেলাঃ ঠাকুরগাঁও। ২, ৩ ও ৪নং আসামীগন ইতিপূর্বে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট হতে জামিন নেন।
আরো উল্লেখ্য যে, সেনিহারী ইব্রাহিম সরকার ওয়াকফ এস্টেটের অব্যাহতি প্রাপ্ত তথাকথিত মোতওয়াল্লী রাজেকুল ইসলাম মোতওয়াল্লীত্ত টিকিয়ে রাখতে তার চাচাতো ভাইদের ফাসাতে বিগত ২০০৯ ইং সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তার গর্ভধারিনী মাকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তার মাকে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার বিরুদ্ধে তার মা নিজে বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেছিলেন (মামলা নং-০৫/৩৩ তারিখ ০৩/২/২০০৯)। তার মাকে নির্যাতন ও হত্যা চেষ্টার বিষয়টি দেশের বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় (জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৯, দৈনিক ভোরের ডাক ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৯, দিনাজপুরের দৈনিক কাঞ্চন ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের সাপ্তাহিক জনরব ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ তারিখে প্রকাশ হয়েছিল এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে মামলার বাদী হেলাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার মাথায় যে ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এখনো তার মাথা চক্কর দেয়, মাঝে মাঝে মাথা ব্যাথা করে এবং তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ জাতীয় আরো খবর ....